মোস্তাকিন হোসেন,হিলি স্থলবন্দর সংবাদদাতা :
দীর্ঘ ১০ মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলিবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে বন্ধের একদিন আগে সোমবার ( ২৬ জুন) শুরু কাঁচামরিচ আমদানি।
একদিনেই আমদানি হয় ২৭ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ। কিন্তু স্থানীয় ক্রেতাদের অভিযোগ যেই হিলি দিয়েই আমদানি হয়েছে, সেই বন্দরের বাজারেই মিলছে না ভারতীয় কাঁচামরিচ। এদিকে এক রাতের ব্যবধানে দেশীয় কাঁচা মরিচ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন,২৬ জুন ভারত থেকে আসা কাঁচামরিচ ১ কেজিও হিলি বাজারে আসেনি। পোর্ট থেকেই বাইরের পাইকাররা কিনে নিয়ে গেছেন। তাই তারা দেশি কাঁচামরিচই বিক্রি করছেন। সরবরাহ কম। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার ঈদ দিনেও প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ প্রকারভেদে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আজ সেই কাঁচা মরিচ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি কাঁচামরিচ বিক্রেতা শেখ বিপ্লব ও খুচরো বিক্রেতা শাহিন বলেন, ২৬ জুন ভারত থেকে কাঁচামরিচ বন্দর দিয়ে এলো।কিন্তু আমরা গিয়ে ১ কেজি কাঁচামরিচও পাইনি।তাই কৃষকদের কাছ থেকে দেশি কাঁচামরিচ কিনে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আজ শুক্রবার সকাল থেকেই ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করছি।
আমদানিকারক জানান, সরকার কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়ার খবরে ঢাকাসহ অনান্য জায়গার পাইকারি কাঁচা মরিচ ক্রেতারা আগে থেকেই হিলিতে অবস্থান করছিলেন। ভারত থেকে ২৭ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছিল, সেগুলো ওই দিনেই বাইরের পাইকাররা কিনে নিয়ে যান। এ কারণে স্থানীয় বিক্রেতারা কোনো কাঁচামরিচ কিনতে পারেননি। তারা আরও বলেন, ঈদের ছুটির পর আমদানি শুরু হবে। তখন কাঁচা মরিচের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তখন হিলি বাজারেও পাওয়া যাবে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী মো: ইউসুফ আলী জানান, গেলো বছরের ২৪ আগস্ট থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ ছিল।গত রোববার( ২৫ জুন) সরকার আবারও কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়।এর ফলে সোমবার ( ২৬ জুন ) থেকেই হিলিবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়। তিনি আরও বলেন, হিলির ৬ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই পর্যন্ত ২৭ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০