ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৪ নভেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

আজ পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৬ তম বর্ষপূর্তি

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
২ ডিসেম্বর ২০২৩, ৩:৩৪ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

|| মুহাাম্মদ ইলিয়াস- রাঙামাটি ||

রাঙামাটিতে আজ শান্তি চুক্তির বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ও জনসংহতি সমিতি পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালনে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এবারো পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে আলোচনা সভা, র‌্যালীসহ বর্ণাঢ্য নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

আজ ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৬তম বর্ষপূর্তি পালিত হবে। ১৯৯৭ সালের এইদিনে

পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। সরকারের পক্ষে তৎকালিন চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে শান্তিবাহিনীর দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের আন্দোলনের অবসান ঘটে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে শান্তিবাহিনীর সশস্ত্র আন্দোলনকারী সদস্যরা। শান্তিচুক্তির ফলে প্রাথমিকভাবে শান্তিবাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র জমা দিলে সরকার পক্ষ থেকে তাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। চুক্তির ধারাবাহিকতায় ১৯৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে তৎকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনার হাতে শান্তিবাহিনীর নেতা সন্তু লারমার দলবল নিয়ে অস্ত্র সমর্পণ করেন।পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্যরাও ফিরে আসে স্বাভাবিক জীবনে।শান্তিচুক্তির দীর্ঘ ২৬ বছর অতিক্রান্ত হলেও পাহাড়ে ফেরেনি শান্তির সুবাতাস। চুক্তি পরবর্তী জেএসএস, ইউপিডিএফ, জেএসুস (সংস্কার), ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক, কেএনএফ, এমএলএফসহ পাহাড়ীদের মধ্যে ভ্রাতৃঘাতী সংঘর্ষের যে সূত্রপাত ঘটেছে তার পুরোপুরি অবসান কখনো হবে কি-না বলা মুস্কিল। শান্তিচুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ও পক্ষ-বিপক্ষের আলোচনা- সমালোচনা, বিতর্ক আর অসন্তোষ এখনো শেষ হয়নি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও পিসিজেএসএস সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমাও সাংগঠনিকভাবে ২৬ বছরেও পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি বলে দাবী তুলেন। একইভাবে রাঙামাটি আদিবাসী ফোরাম সাধারণ সম্পাদক ইন্টুমনি চাকমাও চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের ধীরে চলো নীতি রয়েছে বলে মনে করেন। অপরদিকে পার্বত্য শান্তিচুক্তি সম্পাদন আওয়ামী লীগের জন্য বড় একটি সাফল্য হিসাবে দেখে দলটি।সরকারের দাবি শান্তিচুক্তির অধিকাংশ ধারা, উপধারা ও শর্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে জানান দীপংকর তালুকদার এমপি। সেই ১৯৯৭ সালের শান্তি চুক্তির পর থেকে প্রতি বছর রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলায় দিবসটি ঘটা করে পালিত হয়ে আসছে।

আজ ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজক কর্তৃপক্ষগুলো জানিয়েছে, রাঙামাটি জেলা প্রশাসন’র উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালী ও সমাবেশের আয়োজন করেছে। রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগও পৃথক কর্মসূচি পালন করবে।

একইদিন পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১৪ জাতির অধিকার আদায়ের দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে সমাবেশের ডেকেছে।

এবারের শান্তি চুক্তির বর্ষপূর্তির সমাবেশের অনেক গুরুত্ব এবং ভিন্নতা রয়েছে। আওয়ামী লীগ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাবে।তেমনটা ভাবছেন দু’দল সংশ্লিষ্টরা।

146 Views

আরও পড়ুন

পলাশে রাস্তার ইট তুলে দেয়াল নির্মাণ

উখিয়ায় শাহপুরী হাইওয়ে থানার উদ্যোগে কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত

জেলা খাদ্য কর্মকর্তার তালবাহানা  : জামালপুরে ২০ টন সরকারি চাল জব্দ

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিব লাঞ্ছিত,দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত।

তোমার আলোয় আলোকিত হোক সকল মুসলিম

জামালপুর সমিতি ঢাকার সাবেক মহাসচিব শফিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার

অনিয়মের তথ্য চাওয়ায় হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃক হামলার শিকার সময় টিভির দুই সাংবাদিক

ঐক্যবদ্ধ হয়ে লোহাগাড়ার প্রতিটি এলাকাকে বিএনপির ভোট ব্যাংকে পরিণত করতে হবে

আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে বিক্ষোভ মিছিল জবি ছাত্রদলের

আইডিইবি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কক্সবাজারে প্রস্তুতি সভা

নেত্রকোনায় আলোর ফেরিওয়ালা সেজে দুর্নীতির গডফাদারঃ অধ্যক্ষ ফারুকের বিচার ও অপসারণ দাবি

অ্যাডভোকেট আবুল কালামকে পিএইচপি পরিবারের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন