মোস্তাকিম হোসেন,হিলি স্থলবন্দর সংবাদদাতা
আইপি অনুমতি পাওয়ার পরও ২ দিন থেকে হিলি বন্দর দিয়ে ভাতর থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।
সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) এর মেয়াদ গত মঙ্গলবার ছিলো শেষ দিন।এ কারণে আমদানিকারকরা আগের ( আইপির) সব পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করান। ফলে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এক দিনে ভারত থেকে রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।বন্দরে পযাপ্ত পরিমানের পেঁয়াজ মজুত থাকায় ২ দিন বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও বন্দরে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ আড়ৎগুলোতে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ টাকা দরে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬-১৭ টাকা দরে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪-২৫ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজের দাম কম থাকায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।
হিলি বন্দরের আমদানি রফতানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি ক্ষেত্রে সরকারি অনুমতি ( আইপি) পত্রের শেষ দিন ছিলো গত ২৯ মার্চ মঙ্গলবার। যার ফলে ব্যবসায়ীদের আগের অনুমতির সব পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করান। দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ এর (এলসি) করা হয়।বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাজারসহ দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন করে সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা রমজান মাস উপলক্ষে আরও বেশি বেশি এলসি করছেন। তিনি আরও বলেন,বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি বৃদ্ধির কারণে বাজারে দাম কমেছে এবং আড়ৎগুলোতে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ আছে। আসছে পবিত্র রমজান মাসে পেঁয়াজ এর দাম বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে,মঙ্গলবার ( ২৯ মার্চ) ভারতীয় ৬৩ ট্রাকে এক হাজার ৬৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই স্থলবন্দর দিয়ে। তবে নতুন আইপি পত্রের কোন পেঁয়াজ গত ২ দিনে হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি হয়নি।
এদিকে পাইকাররা বলছে বন্দরে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত থাকায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করার কারনে নতুন এলসির পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছেনা।
পানামা হিলি পোর্ট লিংক লি: এর জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাফ হোসেন মল্লিক প্রতাব জানান, গত মঙ্গলবারের পর থেকে হিলি বন্দর দিয়ে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানি করেনি। নতুন এলসির পেঁয়াজ আমদানি হলে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০