জে. জাহেদ, চট্টগ্রাম :
বহুল আলোচিত ও সমালোচিত চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রয়া ত্রিপুরাকে ২৯ এপ্রিল বদলি করে পাঠানো হয় নগরীর কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিসে। একই আদেশে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা এসিল্যান্ড দীপক ত্রিপুরাকে কর্ণফুলীতে পদায়ন করা হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার (রাজস্ব) এস.এম. অনিক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
উক্ত আদেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সরকারি দাবি আদায় আইন, ১৯১৩-এর ৩(৩) ধারায় সার্টিফিকেট অফিসারের ক্ষমতা প্রদান করা হয়। তবে পরদিন ৩০ এপ্রিল নতুন একটি প্রজ্ঞাপনে পূর্বের আদেশ বাতিল করে বদলি তালিকায় বড় পরিবর্তন আনা হয়।
এতে আনোয়ারা উপজেলার এসিল্যান্ড হুছাইন মুহাম্মদকে কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিসে, সদ্য কর্ণফুলীতে পদায়িত দীপক ত্রিপুরাকে আনোয়ারায়, রয়া ত্রিপুরাকে পতেঙ্গা সার্কেলে এবং সাতকানিয়া উপজেলার এসিল্যান্ড ফারিস্তা করিমকে কর্ণফুলীতে পদায়ন করা হয়।
প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর কর্ণফুলী উপজেলার অনেক সেবাপ্রার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, সাবেক এসিল্যান্ড পিযুষ কুমার চৌধুরী ব্যতিক্রমধর্মী জনসেবার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছিলেন। তার বিপরীতে রয়া ত্রিপুরার দশ মাসের দায়িত্বকাল ছিল বিতর্কিত ও কার্যকর সেবার অভাবে পরিপূর্ণ।
তথ্য অনুযায়ী, রয়া ত্রিপুরার বিরুদ্ধে পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বকালে জন্মনিবন্ধন ফি আদায়ে অনিয়ম, ভূমি উন্নয়ন প্রকল্পে ভ্যাট ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। গত রমজানে বাজার মনিটরিং ও নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে তার ব্যর্থতাও সমালোচিত হয়।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে কাট্টলীতে বদলি হওয়া রয়া ত্রিপুরাকে শেষ পর্যন্ত পতেঙ্গা সার্কেল ভূমি অফিসে পদায়ন করা হয়। তবে সূত্র মতে, তিনি কর্ণফুলীতে থেকে যেতে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও ঢাকায় তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যেই স্থানীয় জনগণ তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে এসিল্যান্ড রয়া ত্রিপুরার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (রাজস্ব) এস.এম. অনিক চৌধুরী বলেন, 'জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। সরকারি চাকরিতে বদলি-পদায়ন একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।'
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০