মুহাম্মদ হোসাইন রেজা
____________
দুনিয়ার উপর মানুষের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। তবুও মানুষ এই দুনিয়ায় নিজের শক্তি স্থাপন করে দুনিয়া পরিচালনা করতে চায়। যার সুত্র ধরে অসংখ্য সংস্থা, সংগঠন এবং শয়তানি গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ওদের কারোই মহামহিম আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার শক্তির ব্যাপারে ধারণা নেই, থাকলেও তাঁর প্রতি বিশ্বাস নেই।
পৃথিবীতে প্রায় পাঁচশো আগ্নেয়গিরি বিদ্যমান। এর মধ্যে ৪টিকে বলা হয় ‘সুপার আগ্নেয়গিরি’। এই চারটি বিশেষ আগ্নেয়গিরির নাম হচ্ছে, ইয়োলাস্টাইন, লেক ডোবা, টাইপো, অ্যায়রা কালডেরা। এই আগ্নেয়গিরিগুলো পৃথিবী পুড়িয়ে দেবার মতো ক্ষমতা রাখে। চারটির যেকোন একটি উদগীরণ হলে সেটি প্রায় ২০০০ মিলিয়ন সালফারিক এসিড বের করে দেবে যাতে কেবল পৃথিবী একা নয়, ঢাকা পড়বে সূর্যও। চিন্তা করেছেন কখনো?
পৃথিবীর সাগরগুলো কতো সুন্দর! কিন্তু এর গভীরে রয়েছে ক্ল্যাথরেস নামের একটি স্তর যেখানটায় জমা রয়েছে প্রচুর মিথেন গ্যাস। ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো হঠাৎ করে এই মিথেন গ্যাস বিস্ফোরিত বোমার মতো বের হয় তখন পৃথিবী ভেঙে তছনছ হয়ে যাবে।
আমাদের গ্যালাক্সিতে কতো হাজার গ্রহাণু বিদ্যমান তার সিংহভাগই অজানা। কয়দিন পরপর বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন তারিখ প্রদান করে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবার। কোনো জানেন? তারা যখন দেখেন অন্য একটি গ্রহ বা কোন উল্কাপিণ্ড পৃথিবীতে ধেয়ে আসছে তখন এমন সংবাদ দেন। কিন্তু সত্যি সত্যি এমন হয় পৃথিবী ধ্বংস হতে মুহুর্তের ব্যাপার।
ফাঙ্গাস নামে এক ধরণের ছত্রাক রয়েছে, যা বিভিন্ন প্রাণীর মৃত্যু ঘটাতে সক্ষম। কিন্তু মানুষের মাঝেও যদি এমন ফাঙ্গাসের দেখা মিলে মানবজাতি ধ্বংস হতে কিছু সময়ের ব্যাপার মাত্র।
আমরা যে মাটির উপর দাঁড়িয়ে আছি তার একমাত্র কারণ অক্সিজেন। মাত্র পাঁচ সেকেন্ডের জন্য অক্সিজেন বন্ধ হলে ভেঙে পড়বে কংক্রিটের স্থাপনা, উল্কার মতো খসে পড়বে আকাশে উড়তে থাকা বিমান, চারদিকে তৈরি হবে ধ্বংসস্তুপ।
এগুলো নামমাত্র উদাহরণ। মানুষের দৃষ্টির সামনের বিষয়। এসবের কোন একটি মোকাবেলা করার শক্তি মানবজাতির নেই। কেননা আল্লাহ সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী। তা-ই কায়মনোবাক্যে আল্লাহকে রব ও প্রভু হিসেবে মেনে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।