মোঃ আবু সঈদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ
হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় ও সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্দ্যোগে শান্তিগঞ্জ উপজেলা কমিটি সহ নেতৃবৃন্দরা হাওর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন।
শুক্রবার (০৩/০২/২০২৩) দিনব্যাপী শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিভিন্ন হাওর এলাকায় হাওর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন।নেতৃবৃন্দরা উপজেলার কাচিভাঙ্গা হাওরের ৫ টি, জামখলা হাওরের ১২ টি এবং খাই হাওরের ১ টি সহ মোট ১৮ টি বাঁধ সরজমিন পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে উপস্হিত ছিলেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দৈনিক সুনামকন্ঠ পত্রিকার সম্পাদকও প্রকাশক বিজন সেন রায়, জেলা কমিটির সভাপতি, লেখক ও কবি ইয়াকুব বখত বাহলুল,সাধারণ সম্পাদক ও সুনামবাজার ডট কম এর পরিচালক ওবায়দুল হক মিলন,শান্তিগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি ও দরগাপাশা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি ও এনজিও সংস্হা পদ্মার পরিচালক মোঃ সাজ্জাদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সংবাদকর্মী মোঃ আবু সঈদ, নির্বাহী সদস্য মাওলানা মিজানুর রহমান সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ।
পরিদর্শনকৃত বাঁধগুলো হচ্ছে কাচিভাঙ্গা হাওরের পিআইসি নং-১৯,২০,২১,২২,২৩, এবং জামখলা হাওরের-৩০,৩১,৩২,৩৩,৩৪,৩৫,৩৬,৩৭,৩৮,৩৯,৪০,৪১ নং বাধ। নেতৃবৃন্দরা হাওর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরেন। কাচিভাঙ্গা হাওরের ২৩ নং পিআইসিতে নীতিমালা লংগন করে বাধের নিকট হতে মাটি উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ধরেন। জামখলা হাওরের ৪০ নং পিআইসির মাছুখালী ক্লোজারের, ৩৬,৩৭ নং পিআইসির জামখলা ক্লোজারের অবস্হা দূর্বিসহ বলে জানান। জামখলা হাওরের ৩৩ ও ৩৪ নং পিআইসির কাজ এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি। ৩৪ পিআইসির কাজ এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি বলে পিআইসির সভাপতি স্বীকারোক্তি দেন। তিনি ২রা ফেব্রুয়ারি কাজের ওয়ার্ক অর্ডার পেয়েছেন বলে জানান। পিআইসি নং ৩৫ ৩৬ এর অবস্হাও নাজুক। জামখলা হাওরের কৃষকদের সাথে আলাপ আলোচনা করলে তারা হতাশার কথা জানান। কাজ সময়মতো সম্পাদন না হাওরের বোর ফসল ঘরে তোলা আশংকাজনক বলে ব্যক্ত করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০