জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :
বিআরটিসি মতিঝিল বাস ডিপোতে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ঢাকা মেইলের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মো: ইলিয়াস ও শরিফুল ইসলামের ওপর হামলা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (এমআরএ)।
সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে বিআরটিসি মতিঝিল বাস ডিপোর সামনে মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধন থেকে তারা পেশাগত নিরাপত্তাসহ চারটি দাবি জানান।
মানববন্ধনে ঢাকা মেইলের প্রধান প্রতিবেদক বোরহান উদ্দিন বলেন, আপনারা সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ ভাববেন না এবং দুর্বলও ভাববেন না, আমরা বানের জলে ভেসে আসিনি যে আপনারা যখন তখন মারবেন, নাজেহাল করবেন। আমরা বিশ্বাস করি বিআরটিসির চেয়ারম্যান অপরাধে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করবেন।
এমআরএ’র সদস্য অমৃত মলঙ্গী বলেন, আমার মনে হচ্ছে এর ভিতরে যে কর্মকর্তারা বসেন তাদের মনে কোনো একটা ভয় রয়েছে। এই ভয়টা আসলে কী? কেন তারা সাংবাদিকদের এত ভয় পেয়েছে? তারা কেন সাংবাদিকদের মোবাইলটাকে এত ভয় পেয়েছে আমরা সেটি জানতে চাই এবং ঘটনার সাথে যারা জড়িত রয়েছে আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এসময় মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের(এমআরএ) সভাপতি ফখরুল ইসলাম চার দফা দাবি উত্থাপন করে বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে
১) সেদিনের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গণমাধ্যমকে দিতে হবে।
২) হামলায় জড়িত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে আইনের আওতায় আনতে হবে।
৩) আহত সাংবাদিকদের সকল ধরণের ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ বিআরটিসি কর্তৃপক্ষকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং
৪) ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
এমআরএ এর দপ্তর সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দিকের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার এসোসিয়েশনের প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মুবিন, মো. আরমান, নাজমুল ইসলাম, মো. রিয়াজ উদ্দিন, সুজন হাসান, আবিদ, হোসাইন, ফেরদৌস, মোহন, জাকির, রবিউল হোসেন রাজু, লাভলু, মারুফ সরকারসহ আরও অনেক মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত (২০ মার্চ) আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিআরটিসি’র প্রস্তুতি সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা মেইলের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মো. ইলিয়াস ও শরিফুল ইসলামকে বিআরটিসির মতিঝিল ডিপোর ম্যানেজার (অপারেশন) ওমর ফারুক মেহেদীর সামনে মারধর করা হয়। মারধরে তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়। এ সময় তাদের দুজনের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে মারধরের ভিডিও ডিলিট করা হয়। এছাড়া কেড়ে নেওয়া হয় তাদের অফিসের আইডি কার্ড, মানিব্যাগ, মাইক্রোফোন ও পাওয়ার ব্যাংক। উক্ত ঘটনায় বিআরটিসির ওমর ফারুক মেহেদী(ম্যানেজার অপারেশন), ইসরাত উম্মে সালমা(হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা), রাকিবুল আলম(সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা), মমিনুল (স্টোর ইনচার্জ), ইকবাল (সরদার) সহ অনেকেই জড়িত ছিল।