হুমায়ুন কবির পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল পেকুয়া উপজেলা শাখার আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
১০আগস্ট(রবিবার) বিকেল ৩টা সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নাইমুর রহমান হৃদয়-কে আহ্বায়ক এবং আবুল কাশেম নূরী-কে সদস্য সচিব করে এই আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়,এবং আগামী ১৫ দিবসের মধ্যে পেকুয়া উপজেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।

নবনিযুক্ত আহবায়ক নাইমুর রহমান হৃদয় পূর্বের পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের কমিটির সদস্য ছিলেন এবং শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।ছাত্রদলের নিবেদিত প্রাণ এবং কর্মীবান্ধব ছাত্রনেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
নবনিযুক্ত আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কাশেম নূরী ছাত্রদলের রাজনীতিতে সুপরিচিত নাম। তিনি পূর্বের পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

নবনিযুক্ত আহ্বায়ক নাইমুর রহমান হৃদয় বলেন, “আমি শুরুতেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের অভিভাবক,বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পেকুয়া উপজেলার রুপকার আলহাজ্ব সালাউদ্দিন আহমেদের প্রতি।আর কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা আমার ওপর আস্থা রেখে এই গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন।”

আরও বলেন , “আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব আমি যথাযথ পালন করব। আমার প্রথম কাজ হলো শিক্ষা ঐক্য প্রগতি স্লোগানকে সামনে রেখে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় করা। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের পাশাপাশি মানবিক, সমাজ উন্নয়নমূলক কাজে সম্পৃক্ত থাকবে। পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদল হবে মেধাবী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর। আমরা দলীয় শৃঙ্খলা মেনে একটি উদাহরণ তৈরি করবো।

সদস্য সচিব আবুল কাশেম নূরী বলেন, “এই দুঃসময়ে দায়িত্ব পাওয়া যেমন গর্বের, তেমনি একটি বড় চ্যালেঞ্জেরও। আমরা চেষ্টা করবো, নতুন কমিটিকে তরুণ ও যোগ্য নেতাকর্মীদের নিয়ে গঠন করতে, যারা ছাত্রদলের আদর্শকে ধারণ করে আগামীতে নেতৃত্ব দিতে পারবে।”

নতুন কমিটির প্রধান অগ্রাধিকার থাকবে ছাত্রদলের গঠনমূলক রাজনীতি ফিরিয়ে আনা, শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিয়ে কথা বলা, শিক্ষাঙ্গনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং সংগঠনের ভিত্তি মজবুত করে আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। শিক্ষা ঐক্য প্রগতি স্লোগান বাস্তবায়ন করা।