এম এ মোতালিব ভুঁইয়া :
সুনামগঞ্জ -৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মুহিবুর রহমান মানিককে নিয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুর রহিমের একটি বক্তব্যের জের ধরে বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম হলরুমে দোয়ারাবাজার উপজেলা আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী আব্দুল হালিম বীরপ্রতীক,উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক,বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম আহমেদ চৌধুরী রানা, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও দোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার মিয়া আনু, পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহিদ, নরসিংপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরউদ্দিন, বোগলাবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহমদ আলী আপন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন দোয়ারাবাজার উপজেলা আওয়ামিলীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতৃবৃন্দ।
প্রতিবাদ সভা চলাকালে সভায় এসে উপস্থিত হন দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুর রহিম। এসময় তিনি তার বক্তব্যে উপস্থিত নেতাকর্মীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন।এসময় তিনি আরও বলেন, আপনারা এত পরিশ্রম করে আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন আমার কাছে আপনারা আসেন কিছু দিতে পারি নাই। সে বিষয়ে বলতে গিয়ে এমন ভুল হয়েছে।এমপি মানিকের নেতৃত্বে দোয়ারাবাজার উপজেলার উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করলে বিষয়টি তাৎক্ষণিক ভাবে নিষ্পত্তি হয়।
উল্লেখ্য গত ১২ অক্টোবর সোমবার দুপুরে উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টেংরাটিলায় সুরমা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এলজিএসপির ব্যাগ ও বয়স্ক ভাতা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দোয়ারাবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ আব্দুর রহিম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি হঠাৎ এমপি মানিক, প্রচলিত আমলাতন্ত্র, ইউএনও, জনপ্রতিনিধি এবং ভোটাধিকারের বিষয়ে সমালোচনায় মুখর হন। বক্তব্যে এমপি মানিককে বিনা ভোটের এমপি এবং সামরিক শাসক ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এরশাদের শাসনামলকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসনামল বলেও আখ্যায়িত করেন। দোয়ারাবাজারের বেহাল সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।