নিজস্ব প্রতিনিধি :
দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুর রহিম আওয়ামীলীগ সরকারকে ভোটার বিহীন সরকার ও আওয়ামীলীগকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সাব রেজিস্টারি অফিস প্রাঙ্গণে দোয়ারাবাজার উপজেলা আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক ফরিদ আহমেদ তারেকের সভাপতিত্বে বক্তব্যে রাখেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামিলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল হান্নান, আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম ( রফিক), নজরুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম,যুবলীগ নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শেখ ফরিদ, ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনসহ উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন শেখ হাছিনা সরকারকে কুটুক্তি করার অধিকার উনি কোথায় পেলেন?মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নামটি আপনি সৌজন্য বহির্ভূত ভাবে কয়েকবার উল্লেখ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শব্দটিও একই সুরে বলেছেন এবং “এই সরকার বিনা ভোটার এমন মন্তব্য করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা হয়েছে।
নৌকা প্রতীকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে “হাঁ” এবং “না” ভোটের প্রেসিডেন্ট এরশাদের গুণ গান করে প্রমান করেছেন আপনি এখনো জাতীয় পাটিকে ভুলতে পারেননি। এইসব কিছুর জন্যে আওয়ামীলীগের সভাপতি মাননীয় প্রধাণ মন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলীয় হাইকমান্ডের নিকট ক্ষমা চাইতে হবে অন্যথায় আন্দোলনের কর্মসুচী ঘোষনা করা হবে।
উল্লেখ্য গত ১২ অক্টোবর সোমবার দুপুরে উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টেংরাটিলায় সুরমা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এলজিএসপির ব্যাগ ও বয়স্ক ভাতা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দোয়ারাবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ আব্দুর রহিম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আওয়ামীলীগের সরকার বিনা ভোটের সরকার, এমপি মানিক, প্রচলিত আমলাতন্ত্র, ইউএনও, জনপ্রতিনিধি এবং ভোটাধিকারের বিষয়ে সমালোচনায় মুখর হন। বক্তব্যে এমপি মানিককে বিনা ভোটের সরকার বিনা ভোটের এমপি এবং সামরিক শাসক ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এরশাদের শাসনামলকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসনামল বলেও আখ্যায়িত করেন। দোয়ারাবাজারের বেহাল সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।