নিজস্ব প্রতিবেদক :
“আদর্শিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে আ’লীগ মিথ্যা অভিযোগে জামায়াত নেতৃবৃন্দ কে হত্যা করেছে ”
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম আপিল বিভাগ কর্তৃক বেকসুর খালাস পেয়ে মুক্তি পাওয়ায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এক শোকরানা সমাবেশ ২৮ মে সন্ধ্যায় জেলা জামায়াতের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী বলেছেন, মহান আল্লাহর একান্ত ইচ্ছায় ইসলাম বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে নিরপরাধ মানুষ হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে বেকসুর খালাস পেয়েছেন এটিএম আজহারুল ইসলাম। ফ্যাসিস্ট আ’লীগ জামায়াতে ইসলামীকে আদর্শিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে নেতৃবৃন্দ কে হত্যার মিশনে নেমেছিল। এটিএম আজহারুল ইসলামের রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে ন্যায় ভ্রষ্ট রায়ের মাধ্যমে যাদের কে ফাঁসি দিয়েছে তারা সকলেই ছিল নির্দোষ ও নিরপরাধ। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আ’লীগ আমাদের নেতৃবৃন্দ কে হত্যা করেছে। আমরা দেশবাসীর কাছে জামায়াত নেতৃবৃন্দের প্রতি আ’লীগের অবিচার ও জুলুমের বিচার তুলে দিলাম।
তিনি আরো বলেন, জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এক নতুন মোহনায় উপনীত হয়েছে। দেশ ও ইসলাম বিরোধী শক্তি এখনো বাংলাদেশকে পথহারা করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি সকল নেতাকর্মীকে শাহাদাতের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশের স্বাধীনতা -সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী তাহজীব -তামাদ্দুন রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
জেলা সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোকরানা সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি শামসুল আলম বাহাদুর, সাংগঠনিক সেক্রেটারি আল আমীন মু. সিরাজুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জাফর উল্লাহ ইসলামাবাদী, কক্সবাজার শহর নায়েবে আমীর কফিল উদ্দিন চৌধুরী, সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল, সহকারী সেক্রেটারি দরবেশ আলী মু. আরমান। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা শফিউল হক জিহাদী।