
সাফা আক্তার নোলক
জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ক্যারিয়ার
ক্লাব সম্প্রতি পাবলিক স্পিকিং এর উপর একটি সেমিনারের আয়োজন করেছে, যার উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ দক্ষতা এবং দর্শকদের সামনে নিজেদের প্রকাশ করার আত্মবিশ্বাসের উন্নতি ঘটানো।
"দ্য আর্ট অফ পাবলিক স্পিকিং" শীর্ষক সেমিনারটি ১২ জুন, সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রাণিবিদ্যা বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে কর্মশালার মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাফিদ এলাহী চৌধুরী।
উক্ত সেমিনারটির উদ্দেশ্য ছিল বক্তৃতা গঠন, শারীরিক ভাষা, কণ্ঠস্বর প্রদান, এবং ইন্টারেক্টিভ ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে নার্ভাসনেস কাটিয়ে ওঠার মতো বিষয়গুলি কভার করে অংশগ্রহণকারীদের জনসাধারণের সামনে কথা বলার এবং যোগাযোগের ক্ষমতা বাড়ানো। সেমিনারটি কার্যকর যোগাযোগের গুরুত্বের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এবং বক্তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জনসাধারণের বক্তব্যের অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। এতে একটি প্রশ্নোত্তর পর্বও অন্তর্ভুক্ত ছিল যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের জানার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
কর্মশালাটির শেষে কয়েকজন অংশগ্রহণকারী তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানান। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কানিজ ফাতিমা দিবা বলেন, "সেশনগুলি সুগঠিত এবং মূল্যবান তথ্যে পরিপূর্ণ ছিল। বক্তারা কেবল জ্ঞানীই ছিলেন না, অবিশ্বাস্যভাবে অনুপ্রেরণাদায়ক ছিলেন, তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন এবং আমাদের জনসাধারণের উন্নতির জন্য ব্যবহারিক পরামর্শ প্রদান করেছিলেন।
অন্য একজন অংশগ্রহণকারী, জুনায়েদ মাসুদ বলেন, " কর্মশালাটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। এটি শিক্ষার্থীদের তাদের ব্যক্তিগত সমস্যাগুলির জন্য এবং উপযুক্ত সমাধান খুঁজে বের করার জন্য একটি উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম প্রদান করেছে। বর্তমান কর্পোরেটে বিশ্ব, যেখানে প্রতিযোগিতা তীব্র, শুধুমাত্র জ্ঞানই যথেষ্ট নয়, যোগ্যতাও প্রয়োজন।"
কর্মশালাটি শেষে জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি তাসপিয়া ইসলাম বলেন, সঠিক তথ্য ও দিক-নির্দেশনার অভাবে পাবলিক স্পিকিং বেশিরভাগ নবীন শিক্ষার্থী ভীত থাকে। তাই লিডারশীপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের ১ বছর মেয়াদী স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে আমরা "The Art of Public Speaking" আয়োজন করি।আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস এর মাধ্যমে জড়তা ও সংকোচ দূর করে শিক্ষার্থীরা পাবলিক স্পিকিং দক্ষ ও নির্ভয় হয়ে উঠবে।
সম্মানিত বক্তাকে ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে উক্ত কর্মশালাটির সমাপ্তি হয়। কর্মশালাটির শেষে অতিথি বক্তা তার অভিজ্ঞতা জানাতে বলেন, " সমগ্র প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীরা অত্যন্ত উৎসাহী ছিল। এবং তারা তাদের অনুসন্ধিৎসু প্রশ্নগুলির মাধ্যমে আমার সাথে সংযুক্ত হন যা আমাকে অনেক উৎসাহিত করে৷ এই সেমিনারে অংশ নেওয়া আমার জন্য একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা ছিল।"
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০