নিজস্ব প্রতিবেদক :
"পরকালীন জবাবদিহিতার অনুভূতি নিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে"
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলা মজলিসে শূরার ষান্মাসিক সাধারণ অধিবেশন জেলা আমির অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারীর সভাপতি ২৬ আগস্ট সকাল দশটায় শহরের একটি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হয়।
শূরা অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসানুল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আহসানুল্লাহ বলেছেন, আমাদের পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় সকল কাজে পরকালীন জবাবদিহিতা কে অগ্রাধিকার দিয়ে আঞ্জাম দিতে হবে। সকল ধরনের দায়িত্ব পালনে আল্লাহর সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। দুনিয়াবী পদ-পদবী ও লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জাতির কল্যাণে ভূমিকা পালন করতে হবে।
সমাজের সকল ক্ষেত্রে দীর্ঘ দিনের পুঞ্জিভূত বৈষম্য ছাত্র জনতার সাহসী ও দৃঢ় ভূমিকার কারণে পর্যায়ক্রমে দূরীভূত হচ্ছে। একটি বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ছাত্র সমাজের আত্মত্যাগ আমাদেরকে যুগ যুগ ধরে প্রেরণা যোগাবে। জামায়াতে ইসলামী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নতুন বাংলাদেশ গঠনে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার সাথে ভূমিকা পালন করবে। ব্যক্তিগত শত্রুতা ও হিংসা প্রতিহিংসার উর্ধ্বে উঠে দেশ গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে নিরপরাধ কোন ব্যক্তি বা রাজনৈতিক কর্মীকে হয়রানিমূলক কর্মকান্ডে জড়িত করা যাবে না। সকল ধর্মের মানুষের প্রতি মানুষ হিসেবে মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণে জামায়াতে ইসলামীর মজলিসে শূরা সদস্যদের অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মজলিসের শূরা অধিবেশনে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমির মুফতি মাওলানা মোঃ হাবিবুল্লাহ, সহকারি সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, জাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সেক্রেটারি শামসুল আলম বাহাদুর প্রমূখ। অধিবেশনে জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য ও ৯ উপজেলার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করে।
বার্তা প্রেরক
আবু মিহরান
জেলা প্রচার বিভাগ
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০