সিলেট ব্যুরোঃ
সিলেটে পালনকৃত সিএনজি অটোরিকশা ধর্মঘট কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে জেলা সি.এন.জি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি. নং-চট্ট-৭০৭ ও সিলেট জেলা অটোরিকশা/অটোটেম্পু শ্রমিক জোট রেজি. নং-চট্ট-২০৯৭-এর সমন্বয়ে গঠিত ঐক্য পরিষদ। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন পরিষদ নেতৃবৃন্দ।
ফলে বুধবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে নগরীসহ সিলেটের বিভিন্ন রাস্তায় সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতে শুরু করেছে।
গ্রিল সংযোজনের সিদ্ধান্ত বাতিল ও ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোবাইক, মটরবাইক, মিশুক ও প্রাইভেট গাড়ি দ্বারা যাত্রী পরিবহন বন্ধসহ ৫ দফা দাবিতে গত সোমবার (২১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে সিলেট জেলায় শুরু হয় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ধর্মঘট। মঙ্গলবার ভোর থেকে টানা ৪৮ ঘন্টার এ কর্মবিরতির ডাক দেয় সিলেট জেলা সি.এন.জি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি. নং-চট্ট-৭০৭ ও সিলেট জেলা অটোরিকশা/অটোটেম্পু শ্রমিক জোট রেজি. নং-চট্ট-২০৯৭-এর সমন্বয়ে গঠিত ঐক্য পরিষদ।
৪৮ ঘণ্টা শেষে তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় ধর্মঘটের মেয়াদ বাড়িয়ে ৭২ ঘণ্টা করে। ফলে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত অটোরিকশা সিলেটের রাস্তায় চলবে না বলে ঘোষণা দেন তারা। তবে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত একটি জরুরি বৈঠকে দাবিগুলো পূরণের আশ্বাস পাওয়ায় অটোরিকশা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা অটোরিক্সা-সিএনজি ৭০৭-এর সভাপতি জাকারিয়া আহমদ বলেন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও এসএমপির ট্রাফিক বিভাগ- বিশেষভাবে বলতে গেলে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন এবং সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদের উদ্যোগে আমাদের সঙ্গে বুধবার বিকেলে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে তারা আমাদের ন্যায়সঙ্গত দাবিগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। সেই আশ্বাসের ভিত্তিতে আমাদের নেতৃবৃন্দ একমত হয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করলাম। এর ফলে এখন (বুধবার রাত সাড়ে ৯টা) থেকে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতে পারবে।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আসেন এবং আমার বাসায়ই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অটোরিকশা শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূরণের আশ্বাস দিলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০