জাহেদুর রহমান সোহাগ, স্টাফ রিপোর্টার ,চট্টগ্রাম :
হুজুর স্যার। এক নামে সবাই চিনেন। মানুষ গড়ার কারিগর তিনি। শিক্ষকতা তাঁর পেশা। স্বজ্জন গুণী শিক্ষক হিসেবে সমাদৃত আবুল বশর একজন ধর্মশিক্ষক হিসেবেও সর্বত্র ব্যাপক পরিচিত। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের সোনারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে একাধারে ৩৯ বছর শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছিলেন শিক্ষকতা করেছেন।
এ দীর্ঘ সময়ে সেখানে হাজারও ছাত্র-ছাত্রীর জীবনে ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষা দিয়েছেন তিনি। মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছেন শিক্ষার্থীদের। তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই আজ দেশে বিদেশে সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে সু প্রতিষ্ঠিত। শুধু তাই নয়, যে বিদ্যালয়ে জীবন প্রথমবার থেকে এক মুহুর্তের জন্যে কোথাও বদলী হতে হয়নি তাঁকে। এলাকাবাসীর ভালোবাসা যেমন তাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে, ঠিক তেমনি তিনিও নিজের সম্পৃক্ততায় গড়া এ বিদ্যালয়ের মালা ছেড়ে যেতে পারেননি। অবশ্য এ ক্ষেত্রে তাঁর দায়িত্ববোধ, সততা, আন্তরিকতা আর ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি নির্মোহ ভালোবাসা সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রেখেছে। ‘হুজুর স্যার’ হিসেবে সমধিক পরিচিত এই কীর্তিমানকে বুধবার বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ৩৯বছর শিক্ষাকতার ইতি টানেন তিনি।
রাঙ্গুনিয়া সোনারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল বশরের শিক্ষকতা জীবনের সমাপ্তিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্ষুদ্রপরিসরে বিদায় জানায়।
১৯৮১ সালের ১ ডিসেম্বর তিনি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। আর চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসর গ্রহণ করেন। এরপর বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি এবং শিক্ষকবুন্দ তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদানের উদ্যোগে নেন।
আবুল বশর রাঙ্গুনিয়া দক্ষিন রাজানগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড নাছির মোহাম্মদ তালুক গ্রামের কাজী খাইরুল আমীম এর পুত্র। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। স্ত্রী, তিন পুত্রকে নিয়ে তার সুখের সংসার রয়েছে। সর্বোপরি তিনি একজন সফল মানুষ, সফল শিক্ষক।
সোনারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন একাধারে ৩৯ বছর একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে তিনি নজির স্থাপন করেছেন। শিক্ষাকতা পেশার শুরু থেকে আজকের অবস্থান পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে এই শিক্ষকের রয়েছে অসামান্য অবদান। যা এলাকাবাসী কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরন রাখবে।