
মফিজুল ইসলাম সৌরভ :
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে আয়ার কাজ করেও কর্তৃপক্ষের কোন বেতন পাননা ছবির ব্যক্তিটি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)। গতকাল কোন এক ফাঁকে হাসপাতালে ওই ব্যক্তির সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তার কাছ থেকে জানতে চাইলে খুব অসহায় এবং হতাশ মন থেকে জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো বেতন/টাকা দেয় না !! রোগী এবং তাদের সাথে আসা আত্নীয় স্বজনদের বকশিসের বিনিময়ে আমার জীবন চলে!
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগীদের টলিতে নেওয়া আনা থেকে শুরু মোটামোটি সব কাজে তাঁকে পাওয়া যায় । করোনার এই কঠিন সময়ে অনেক নার্স হাসপাতালে নাই। অনেকে মৃত্যু ভয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন। এমতাবস্থায় এই লোকটি পরিবার পরিজনের দুমুঠো আহার যোগাতে করোনার ভয়কে পিছনে ফেলে পরিবারের পিছুটানকে অগ্রাধিকার দিয়ে হাসপাতালের এ কাজ ও কাজ করে মানুষের সেবায় নিয়োজিত থেকে বিভিন্ন জন থেকে যে কয় টাকা বকশিষ পান তা দিয়ে পরিবারের ভরণ পোষণ যোগান।
তিনি বলেন,রোগীর আত্নীয় স্বজনেরা তাঁকে ১০ /২০/ ৫০ টাকা করে বকশিস দেয় তা দিয়ে জীবন চলে, আবার অনেকের ক্ষেত্রে তাও রিকুয়েস্ট করে নিতে হয়।
বকশিস না দিলে সারাদিন না খেয়ে থাকতে হয়। তারপরেওে হাল ছাড়েন না এই ব্যক্তি । কর্তব্যপরায়ন এই লোকটির স্থায়ী কর্মসংস্থানের জন্য মাদারীপুর জেলার সিভিল সার্জন মহোদয়ের দৃষ্টি আর্কষণ করছি ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০