গোলাপ খন্দকার সাপাহার(নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর সাপাহার সদর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আবুল কালাম (৪৫) এর দীর্ঘ দিনের শখ সে কবুতর লালন পালন করবে এরই পেক্ষিকে শখের বসে কবুতর পালন করে এখন আর্থীক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন সে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রাম পুলিশ আবুল কালাম তার বাড়িতে অনেক জাতের কবুতর প্রায় ৩ বছর পুর্বে শখের বশে মাত্র ১ জোড়া দেশী জাতের কবুতর পালনের মধ্যে দিয়ে তার এই যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে তার বাড়িতে বিভিন্ন জাতের প্রায় ২শত ৫০টি কবুতর রয়েছে। তিনি চাকুরীর ফাঁকে কবুতরের যতœ পরিচর্যা করেন। বর্তমান সময়ে প্রতি জোড়া কবুতরের বাচ্চা ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। তার বিদেশী জাতের ফেন্সি কবুতর এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা বিক্রি করেন। সব মিলিয়ে প্রতি মাসে তার কবুতর তেকে ১৫/২০হাজার টাকা আয় হয়।
কবুতর খামারী আবুল কালাম জানান, দেশী কবুতরের অসুখ বিসুখ কম হয় এজন্য তিনি দেশী কবুতর পালন করেন। তবে অল্প সংখ্যেক বিদেশী ফেন্সি কবুতর তার খামারে আছে। তিনি বলেন শখের বসে এই কবুতর পালন করে তিনি আর্থীক ভাবে স্বচ্ছলতা খুঁজে পেয়ে এখন বেশ ভালোই আছেন, প্রতি মাসে তার কবুতরের খাদ্য ও ঔষধ পত্র বাবদ খরচ বাদে ১০ / ১২ হাজার টাকা আয় হয়। তার সংসারের অভাব অনটন আর নাই আর্থীক ভাবে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ স্বাবলম্বী জীবন যাপন করছেন।
তার কবুতর পালনে সফলতা দেখে এলাকার অনেক বেকার ও অল্প আয়ের মানুষ কবুতর পালনে উৎসাহী হয়ে স্বল্পপরিসরে কবুতর পালন শুরু করেছে।
সাপাহার সদর ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী জানান, তার ইউনিয়নের কর্মমূখী অতি পরিশ্রমি গ্রাম পুলিশ সদস্য আবুল কালাম তার চাকুরীর দায়িত্ব পালনের পাশা-পাশি কবুতর পালন করে অতিরিক্ত আয় উপার্জনে আজ তার ভাগ্যের অনেক পরিবর্তন করেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০