এম এ মোতালিব ভুইয়াঃ
মেধা, যোগ্যতা আর আন্তরিকতাই মানুষকে আত্মকর্মশীল হওয়ার স্বপ্ন দেখায়।বোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান আহমেদ আলী আপন একজন সফল কৃষক ও সফল খামারি। তার খামার দেখে আশপাশের এলাকার মানুষ এখন গরু পালনে উদ্যোগ নিয়েছে।সফল কৃষক ও সফল খামারি হিসেবে এলাকায় ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন। শ্রমিকের সাথে নিজে মাঠে কোমর বেঁধে অংশ নিচ্ছেন ফসল ফলানোর। সেই কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে কাজ করেন। কখনো হাতে কোদাল কখনো লাঙ্গলের ফলা, আর কখনোবা খেত নিড়ানি কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি।তার বাড়ী সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের নোয়াডর গ্রামে ।
২০১১ সালে উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে প্রথম নির্বাচনে বোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। অত্যন্ত সততা ও সুনামের সাথে বোগলাবাজার ইউনিয়নকে আধুনিক মডেল হিসেবে গড়ে তোলেন। এজন্য কুড়িয়েছেন অগনিত সুনাম ও সুখ্যাতি। কিন্তু এ বছর জনগণের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। মনোনিবেশ করেন কৃষি ক্ষেত্রে।
ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। লেখাপড়া শেষ করে মাটি ও এলাকার মানুষের টানে জনসেবায় আত্মনিয়োগে জনগণের সুখে দুখে ছুটে চলেন এই নিবেদিত মানুষ।
এখন মনোনিবেশ করেছেন কৃষি ক্ষেত্রে। কৃষি কাজ করেই তিনি বেশ সফল। তিনি নিজের জমিতে একের পর এক ফসল আবাদ করে যাচ্ছেন। এতে রয়েছে তার ব্যাপক সফলতা। তিনি একজন সফল কৃষক ও সফল খামারি। এমনটাই দাবি তার।
সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদ আলী আপন বলেন, কৃষি প্রধান দেশে কৃষি আমাদের উন্নয়নের চালিকা শক্তি। কৃষির উন্নয়ন হলে দেশের উন্নয়ন ঘটবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এক ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা যাতে পতিত না থাকে সেই লক্ষ্যে নিজের জমি গুলোকে নিজ হস্তে আবাদ করছি। এতে একদিকে নিজে লাভবান হচ্ছি অপরদিকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে মনে করি।এ বছর তিনি নিজের ৩ একর জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন।
কৃষি কাজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তিনি আরো বলেন, মাঝে মধ্যে প্রাকৃতিক কারণে ফসল নষ্ট হলেও তিনি কখনই হাল ছাড়েননি। নতুন উদ্যমে নতুন করে ফসল আবাদ করেছেন। ভালো মাটি ও আবহাওয়া কৃষির জন্য বেশ উপযোগী বলে মনে করেন এই সফল কৃষক।আগে শুধু ধান চাষাবাদ করলেও তিনি এখন সব ফসল ফলান। বর্তমান সময়ের কৃষি প্রযুক্তি তার কাছে খুবই সহজ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০