জেমস আব্দুর রহিম রানা, স্টাফ রিপোর্টার :
অভাবের তাড়নায় জীবিকা নির্বাহ করতে শাপলা নিয়ে প্রতিদিন ছুটে চলেন এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে। প্রতিদিনের ইনকামে চলে মা-ছেলের ছোট্ট সংসার।
খোজ নিয়ে জানা যায়, ১৬ নং নেহালপুর ইউনিয়নের ঝাউতলার মৃত মিয়াজান মোল্যার ছেলে জালাল মোল্লার ৪ নং স্ত্রী ছবুরোন বেগম।পারিবারিক কলহে স্বামীর সংসার থেকে বিচ প্রায় ১৮ বছর, বর্তমান ভরতপুর দক্ষিন পাড়ায় বাপের বাড়ি থাকেন, ছবুরোন বেগম ১৩ নং খানপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের দক্ষিন ভরতপুর গ্রামের মতলেব মোল্যার এক মাত্র মেয়ে। একটা ছেলেকে নিয়ে তার পারিবারিক বসবাস কিন্তু ছেলে আলিম মোল্যা দীর্ঘদিন কিডনি রোগে ভুগছেন, সংসারের খরচ আর ছেলের চিকিৎসার খরচ চালাতে এভাবে প্রতিদিন শাপলা বিক্রি করেন কিন্তু তাতে তেমন কোন ফল পান না।
১৩ নং খানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী বলেন, ছবুরোন বেগমের নামে বয়স্ক ভাতা ও ছেলে আলিম মোল্যার নামে ভিজিডি-র কার্ড করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে ছবুরোন বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বয়স্ক ভাতা আর ছেলের ১০ টাকা চাউলের কার্ড আছে কিন্তু এতে তো আর ছেলের চিকিৎসা করাতে পারি না, সরকার থেকে যেটা পাই সেটা সংসারের খরচে চলে যায় তাই আমি গ্রামে গ্রামে শাপলা বিক্রি করি, আপনারা যদি আমার ছেলের চিকিৎসা করানোর জন্য সাহায্য করেন তাহলে মা হয়ে আমাকে আর গ্রামে গ্রামে ঘুরতে হবে না।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০