ফেসবুক কর্ণার :
রাতের কাওরান বাজারে। প্যান্ট শার্ট পরা এক ভদ্রলোক ক্রেতা এসে মুরগির গিলা-কলিজা-গলা মিলিয়ে কেজি খানেক কিনলো, আর সাথে চেয়ে নিলো ওই থালার এক কোনায় রাখা দুইপিস ভালো মাংস।
অভিযোগের সুরে বলতে লাগলো যেই টাকা বেতন পাই, তাতে করে এইদামে আস্ত মুরগি কেনা আমার সম্ভব না। আগে সোনালি কিনতাম। ব্রয়লার ছুঁয়েও দেখতাম না, সেই ব্রয়লার এখন ২৩০/২৪০ টাকা কেজি! ভাবতে পারেন?
এই গিলা-কলিজা দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে। কিন্তু ঘরে তো ছোট ছোট ছেলে—মেয়ে আছে,ওরা তো এসব বুঝেনা। ওদের তো গলা-গিলা কলিজা খাইতে ভালো লাগেনা,খাইতে চায়না এসব। তাই তাদের জন্য শুধু দুই পিস ভালো মাংস নিলাম।
নিশ্চয়ই ঘরে ফিরে ওইগুলো রান্না করার পর ছেলের মেয়ের পাতে ওই দুইপিছ ভালো মাংস তুলে দিতে দিতে এই অসহায় বাবা বলতে থাকবে ওই মাংস তার ভালো লাগেনা, ছেলে মেয়েকে হয়ত বুঝাতে থাকবে যে মুরগির গলার মাংসই গিলা কলিজাই তার সবচেয়ে প্রিয়!
একজন চাকরিজীবী হয়েও একটা সামান্য ব্রয়লার মুরগি কিনতে না পেরে রাতের বেলায় মুরগির শুধু গলা-গিলা কলিজা কিনে একটা পোটলায় করে দীর্ঘশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে বাড়ি যাচ্ছে!
এই দীর্ঘশ্বাসটাই কি আমরা অসহায়ের মতো নিতেই থাকবো??
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০