শেখ সাইফুল ইসলাম কবির:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দিনমজুর হালিম শেখ ভাঙ্গা ঘরের চাল দিয়ে একদিকে যেমন রোদ্দজ্জল আকাশ দেখতে পারে অপরদিকে ঘরে বসেই বৃষ্টির ছোঁয়া পায় । এভাবেই রোদ আর বৃষ্টিতে দিনলিপি চলে ভ্যান চালক হালিম শেখ ও তার পরিবারের।
স্ত্রী শেফালী বেগম , ৩ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তান নিয়ে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ধানসাগর পিসি বারইখালী গ্রামের হালিম শেখের পরিবার। দিনমজুর হলেও অদম্য ইচ্ছা শক্তি নিয়ে সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য তিনি প্রতিনিয়ত কায়িক ও শারীরিক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। নানা রোগ শোক নিয়েও পরিবারের সকলের মুখে একমুঠো খাবার তুলে দিতে অমানুষিক শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। তাকে একদিকে পরিবারের সদস্যদের খাবার যোগাড় অন্যদিকে সন্তানদের লেখাপড়া চালাতে হচ্ছে।
বড় মেয়ে তানিয়া আকতারের এসএসসি পাশের পর অর্থের অভাবে পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে বিয়ে দিতে হয় তাকে। মেঝ মেয়ে ছনিয়া এসএসসি পাস করার পর লেখাপড়া বন্ধ। ছোট মেয়ে মর্জিনা চলতি বছর ইউনাইটেট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ও ছোট ছেলে আব্দুল্লাহ একই বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীর ছাত্র। সংসারের একমাত্র আয়ের উৎস তিনি। একটি ভ্যান তার একমাত্র অবলম্বন।
নুন আনতে পানতা ফুরায় সংসারে একদিকে সন্তানদের লেখাপড়া অপরদিকে সংসার চালানো । তিনি আর পেরে উঠছেনা। শ^শুর হামেদ উদ্দিন দয়া করে তার স্ত্রীর নামে ৫ কাঠা জমি দান করলেও বসবাসের জন্য মাথা গোঁজার ঠাই একটি তুলতে পারেনি অর্থের অভাবে।
ভ্যান চালক হালিম শেখ বলেন, সংসার ও ছেলে মেয়েদের নিয়ে হিমশিম খেতে হয় তাকে। ঘর তুলবো কিভাবে। রোধ বৃষ্টিতে দিনরাত তাদের কষ্ট করতে হচ্ছে। সন্তান ও পরিবার পরিজন নিয়ে ভাঙ্গা ঘরে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে তাদের।
তিনি বলেন, শুনেছি মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় পরিবারকে ঘুর তুলে দিচ্ছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চাই। চাই তার কাছে একটু মাথা গোঁজার ঠাই। ##
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০