জাহেদ হাসান:
বন্যায় দিনমজুর আব্দুল্লাহ'র শেষ আশ্রয়স্থল ভাঙ্গাচোরা ঘরটিও চূর্ণবিচূর্ণ করে পথে বসিয়ে দিল। অসহায় দিনমজুর আব্দুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে নিয়ে একটি ভাঙ্গাচুরা ঝুপড়ি ঘরে খেয়ে না খেয়ে বসবাস করে আসছে।ঘরের চালের টিন জং ধরে ফুটো হয়ে গেছে, একটু বৃষ্টি হলেই আর ঘরে থাকা যায় না, দুর্যোগের আভাস পেলেই ভয়ে ভয়ে থাকেন কখন যেন ভেঙে পড়ে।এইবারের বন্যায় শেষ আশ্রয় ভাঙ্গাচোরা ঘরটিও ঢলে পড়ে গেছে।
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজার বাংলাবাজার পশ্চিম মুক্তারকুল এলাকার মৃত মোঃ শফির ছেলে দিনমজুর আব্দুল্লাহ পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটি ভাঙাচোরা ঘরে বসবাস করছেন, যেকোনো সময় দুর্যোগ আসলে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা আছে। ঘরের বেড়ায় বড় বড় ফুটো হয়ে বাতাস ঢুকছে, শীত ও বর্ষা আসলে পরিবারে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ, ছেলে সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে এই দিনমজুর।জীবিকার তাগিদে মানুষের কাজ করে কোনো ভাবে সংসার চালাচ্ছেন।
অনেকেই সরকারি-বেসরকারি সাহায্য ও মুজিব বর্ষের উপহার ঘর পেলেও এ পর্যন্ত কিছুই জোটেনি তার ভাগ্যে।দিনমজুর আব্দুল্লাহ'র অভাবের সংসারে তিন মেয়ে ও ১ ছেলে,দুই মেয়ের কোনরকম বিয়ে দিতে পারলেও বর্তমানে ১ মেয়ে ও ১ ছেলে নিয়ে অভাবে দিনাতিপাত করছে।
আব্দুল্লাহ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,এমনিতে আমার ঘরটা একেবারেই ভাঙ্গা,তার উপর এইবার বন্যায় ঘরটি ঢলে পড়েছে, পরিবার নিয়ে থাকার অনুপযোগী হয়ে গেছে।দিনমজুরী করে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করছি,ঠিক সময়ে খেতে না পারলেও পরিবার নিয়ে কোনরকম থাকার জন্য একটি ঘর খুবই প্রয়োজন।
এলাকার একাধিক স্থানীয়রা জানান,দিনমজুর আব্দুল্লাহ ছেলে মেয়ে নিয়ে ভাঙ্গাচোরা ঘরে খুবই কষ্টে জীবন যাপন করছে শেষ বয়সে যদি তার একটি সরকারের দেওয়া মুজিব বর্ষের উপহারের ঘর পেতো তাহলে বাকি জীবনটা শান্তিতেই কাটতো তার।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০