========================
সাজেদুল ইসলাম টিটু,পাঁচবিবি(জয়পুরহাট)প্রতিনিধিঃ
সংসারের অভাব ঘুচাতে গৃহকর্মী হিসাবে ওমান গিয়ে বিপদে পড়েছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার দিবাকরপুর গ্রামের দুলাল হোসেনের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী নাজমা খাতুন(৩৮)।
বাংলাদেশ থেকে মহিলা শ্রমিক নেয়ার চুক্তি হলে নাজমা খাতুন সরকারি নিয়ম কানুন মেনে মেসার্স দি ফাস্ট সার্ভিস রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে (আরএলনং:১৪২৬) গত বছর ফেব্রুয়ারী মাসে ওমানে গমন করেন যার পাসপোর্টনং:বিআর০০২১৮৪৯।
ওমানস্থ গৃহকর্তার বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজে যোগদানের পর নাজমার ওপর শারীরিক ও মানসীক নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে। অসুস্থ্য শরীরে কাজ করতে না চাইলে টয়লেটে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। খাবার না দেয়ায় টয়লেটের পানি পান করে ক্ষুধা নিবারনের মতো লোমহর্ষক ঘটনাও ঘটে। বর্তমানে বিদেশের মাটিতে চার দেয়ালে বন্দি জীবন কাটাচ্ছে নাজমা।
গত ১ বছরে মাত্র দুই মাসের বেতন দিয়েছেন নিয়োগ কর্তা। মালিকের ভয়ে খুব গোঁপনে নির্যাতনের বিষয় তার স্বামীকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন নাজমা। অসুস্থ্য হয়ে নরক যন্ত্রণায় ভুগছে নাজমা। সেখানে তার কোন সুচিকিৎসা হচ্ছেনা। দেশে ফেরার আকুতি জানালেও তারা আসতে দিচ্ছেনা।
এমতাবস্থায় স্ত্রীকে দেশে ফেরাতে দুলাল হোসেন ওই এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। এজেন্সির লোকজন বলেছেন আত্মীয় কিংবা সরকারের সহযোগীতা ছাড়া নাজমাকে দেশে ফেরানো সম্ভব নয়। এরই প্রেক্ষিতে দুলাল হোসেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে সহকারী সচিব কাঞ্চন বিকাশ দত্ত শ্রম কল্যাণ উইং বাংলাদেশ দূতাবাস ওমানে গত বছর ২৬ সেপ্টেম্বর চিঠি লিখেন যার স্মারকনং:৪৯.০০.০০০০.০২৪.০০.০২৯.১৮.৮৩৬। অদ্যবধি ওই চিঠির কোন সাড়া মেলেনি।
ক্ষুদ্র কৃষক দুলাল হোসেন আক্ষেপ করে বলেন,গরীব হওয়ায় তার কথা কেউ শুনতে চায়না। তিনি আরো বলেন,স্ত্রীকে দেশে ফেরাতে অনেক চেষ্টা করেছি কিন্ত কোন কুল কিনারা পচ্ছিনা। ওমানস্থ গৃহকর্তার নির্যাতন সইতে না পেরে তার স্ত্রী একদিন আত্মহত্যা করতে পারে। দুলাল হোসেন স্ত্রীকে দ্রুত দেশে ফেরাতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Attachments area