এম এ মোতালিব ভুইয়া ঃ
শিকলে বন্ধি আম্বিয়া খাতুনের জীবন, অর্থ নয়, চায় চিকিৎসা, চায় লোহার শিকল থেকে মুক্তি। অর্থের অভাবে প্রতিবন্ধী আম্বিয়া চিকিৎসা করাতে পারছেনা দরিদ্র মাতা। মানসিক প্রতিবন্ধী আম্বিয়া (২২)
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ উস্তিংঙ্গেরগাও গ্রামের দিনমুজুর মৃত আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে।
আম্বিয়া খাতুনের ৮ বছর পূর্বে মানুষিক রোগে আক্রান্ত হয়ে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি তার দরিদ্র বাবা-মা। প্রতিবন্ধি আম্বিয়া খাতুন মানুষকে মারধর করে, আসবাবপত্র ভাংচুর করে তার আক্রমণ থেকে বাচতে ও হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে হাতে শিকল পরিয়ে রাখে তার মা।অসহায় মাতা কান্না জড়িত কন্ঠে বিত্তবানদের প্রতি টাকা পয়সা না মানুষিক চিকিৎসার জন্য আকুতি জানান এই প্রতিবেদকের নিকট।
বাবা দিনমুজুর মৃত আবু বকর সিদ্দিকের ২ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে মানসিক প্রতিবন্ধি আম্বিয়া খাতুম তৃতীয় । দিন মুজুরের কাজ করে কোন রকম চলে তাদের সংসার । তাই টাকার অভাবে করতে পারছে না চিকিৎসা।
আম্বিয়া খাতুন ছোট ভাই মোজাহিদ হোসেন বলেন, আমার বোন হারিয়ে যাবে বলে তাকে ছিকল দিয়ে বেধে রাখি। যদি হারিয়ে যায় তাহলে কোথায় খুজবো বোনকে। টাকা নেই তাই মানসিক ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করাতে পারিনি। আমি টাকা চাইনা। কোন হৃদয়বান ব্যাক্তি আমার বোনকে চিকিৎসা করালে আমি কৃতজ্ঞ হতাম।
প্রতিবন্ধি আম্বিয়া খাতুনের মা রহিমা খাতুন জানান, আম্বিয়া ৮ বছর আগে হঠাৎ মানুষিক রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। টাকার অভাবে আমার মেয়েকে চিকিৎসা করাতে না পেরে গ্রাম্য ডাক্তার,কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করাই। কিন্তু এতে মেয়ের মানসিক সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। তিনি আরো বলেন মানসিক ডাক্তার দিয়ে উন্নত চিকিৎসা করালে মেয়ে আম্বিয়া খাতুন ভাল হয়ে যাবে। সরকারী ভাবে যদি আমার মেয়ে আম্বিয়া খাতুনের চিকিৎসা হতো তাহলে আমারা আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে দোয়া করতাম।