শাহাদাত হোসেন, রামু :
দারিদ্রতা জয় করে ঢাবির মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে কক্সবাজারের রামুর মেয়ে মর্জিনা আক্তার। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিটের সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ২৮৬তম স্থান
অর্জন করেছে সে। তার সাফল্যের সুবার্তায় পুরো এলাকা জুড়ে নেমে আসে খুশির জোয়ার। এ র্অজন তার কাছে মোটেও সহজতর ছিলনা। অনেক সংগ্রাম,প্রতিবন্ধকতা ও
চড়াই-উতরাই পার হয়ে মর্জিনা দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাবিতে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করল। তার এই অর্জনে অভিনন্দন জানিয়েছেন স্থানিয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহামদ সহ অধ্যয়নকালীন স্কুল, কলেজের শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীরা।
মর্জিনা আক্তার রামু উপজেলা কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দরিদ্র কৃষক আবু বক্কর ছিদ্দিক এর মেয়ে। অনেক কষ্টে চলে তাদের সংসার। ৫ বোন ২ ভাইয়ের মধ্যে মর্জিনা ৩য়। সীমিত উপার্জনে ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয় তার পিতাকে। মর্জিনা কয়েকটি টিউশনি করে নিজের পড়ালেখার খরচ নিজেই জোগাড় করতো। তার সমসাময়িক ছোট বোনটিও জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ-৫ (গোল্ডেন) পেয়ে মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন দেখছে।
মর্জিনা রামুর কাউয়ারখোপ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসি,কাউয়ারখোপ হাকিম রকিমা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫(গোল্ডেন) পেয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করে।
তার পিতা আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান,আমার মেয়ে দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে শুনে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আমার সীমিত উপার্জনে তার পড়ালেখার খরচ বহন করা কষ্টসাধ্য হলেও আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ আমার সহায় হবেন।
মর্জিনা আক্তার জানান, তার স্বপ্ন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। আল্লাহ তার সেই স্বপ্ন পুরন করেছে। তিনি সৃষ্টিকর্তা সহ বাবা-মা,শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন ভালো
ফলাফল অর্জন ও দেশের কল্যাণে কাজ করতে সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য মর্জিনা আক্তার কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন হইতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়া ২য় শিক্ষার্থী। ১ম শিক্ষার্থী ছিল একই এলাকার মরহুম মনির আহামদের মেয়ে তাসলিমুন নেছা। তিনি এখন চট্টগ্রাম বিভাগে সহকারি কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মরত রয়েছে।