ঢাকাবুধবার , ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  1. সর্বশেষ

কোটচাঁদপুরের রাশেদুলের অর্থাভাবে মেডিকেল ভর্তি অনিশ্চিত।

প্রতিবেদক
admin
১০ এপ্রিল ২০২১, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

মোঃ আশাদুল ইসলাম,
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ

রুহানীর পর এবার অর্থের অভাবে মেডিকেলে ভর্তির শঙ্কা তৈরী হয়েছে রাশেদুল ইসলামের (২০)। কিভাবে ভর্তির টাকা জোগাড় হবে এই চিন্তায় পড়েছে রাশেদুলের পরিবার। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অদম্য মেধার পরিচয় দিয়েছেন রাশেদুল। রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ হয়েছে তাঁর।

কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণে এখন বড় বাধা অর্থ। ভর্তি থেকে শুরু করে পরবর্তী পড়ালেখার খরচ কীভাবে জুটবে, এই চিন্তা এখন গোটা পরিবারের। বাবা মজনুর রহমান পাওয়ার টিলার চালক। অন্যের গাড়িতে কাজ করেন। মাঠে মাঠে জমি চাষ করেন। এভাবে যা আয় করেন, তা দিয়ে ঠিকমতো সংসারই চলে না, সেখানে ছেলের পড়ার খরচ কোথা থেকে আসবে এই চিন্তা তাঁর। পরিবারের সদস্যদের আশঙ্কা, অর্থের অভাবে ছেলের স্বপ্ন শেষ না হয়ে যায়। রাশেদুলদের বাড়ি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামে। সামিয়া মরিয়ম (৭) নামের তাঁর আরেকটি ছোট বোন রয়েছে।

রাশেদুলের বাবা মজনু জানান, অভাবের সংসার তাঁর। নিজের মাঠে কোনো চাষযোগ্য জমি নেই। মাত্র ৯ শতক জমির ওপর ভিটেবাড়ি। মাটির এক কক্ষের ঘরের মধ্যে রাশেদুল পড়ালেখা করেন। আর বারান্দা ঘিরে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ছোট মেয়েকে নিয়ে ঘুমান। বাড়িতে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি আর কবুতর পালন করেন তাঁরা। মা ফিরোজা বেগম বলেন, ছোটবেলা থেকেই রাশেদুলের পড়ালেখার প্রতি খুবই আগ্রহ। সারাক্ষণ পড়ালেখা নিয়েই থাকেন। কখনো ছেলেকে পড়ার কথা বলতে হয়নি। বাড়িতে পড়ালেখা করেই সব সময় ভালো ফল করেছেন। কোনো পরীক্ষায় রাশেদুল দ্বিতীয় হননি।

মা বলেন, ‘ছেলের অনেক দিনের স্বপ্ন ডাক্তারি পড়ার। এখন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, কিন্তু পড়ানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। স্বামী কলের লাঙল চালিয়ে দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় করেন। বছরে ৪ মাস এই কাজ হয়। বাকি ৮ মাস বাড়িতে গরু লালনপালনের পাশাপাশি শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।

রাশেদুল জানান, বাবা পড়ালেখার খরচ দিতে পারেন না, তাই কখনো প্রাইভেট পড়তে যাননি। বাড়িতে পড়ালেখা করেই ভালো ফল নিয়ে এসেছেন। রাশেদুর পার্শ্ববর্তী রামনগর কে বি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ নিয়ে এসএসসি পাস করেন। একই গ্রামে অবস্থিত এ অ্যান্ড জে কলেজ থেকে ২০২০ সালে এইচএসসি পাস করছেন। করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিতে না পারলেও আগের ফলাফলের ভিত্তিতে ফলাফল জিপিএ-৫ এসেছে।

রাশেদুল আরও বলেন, এসএসসি পাসের পর অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি হতে পারছিলেন না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান লেন্টু টাকা দিয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। রাশেদুল চিকিৎসক হয়ে গ্রামের মানুষের সেবা করার স্বপ্ন দেখেন। এই স্বপ্ন পূরণে বিত্তবানদের সহযোগিতা চান তিনি। রাশেদুলের সঙ্গে যোগাযোগ ০১৩০৩-৬৭৩১৩৭

আরও পড়ুন

মাদারীপুর বাবু চৌধুরী ক্লিনিকের ওয়াশরুমে নবজাতক মেয়ে শিশুর জন্ম দিয়ে পালিয়ে গেলেন অজ্ঞাত মা

হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়াকে দেখার পর কি বললেন জামায়াত আমীর?

বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কাপাসিয়া প্রেসক্লাবে বিশেষ দোয়া মাহফিল

কাপাসিয়ায় গাছ কেটে অবৈধভাবে কয়লা তৈরি করার দু’টি চুল্লী ধ্বংস করেছে উপজেলা প্রশাসন

রাউজানের ডাবুয়ায় খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্যে খতমে কুরআন ও দো’য়া মাহ’ফিল

বাঁচতে চায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত কুবি শিক্ষার্থী অনন্যা

২০২৪-২৫ সেশনের ক্লাস শুরু এবং ৫ দফা দাবি ইডেন শিক্ষার্থীদের

কুবি’র বিজয়-২৪ হলে কালচারাল এন্ড স্পোর্টস উইকের উদ্বোধন

চকরিয়ায় স্বামীর নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

দোয়ারাবাজারে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি

বেগম জিয়া দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারের প্রজ্ঞাপন

বেগম জিয়া দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারের প্রজ্ঞাপন

১১ পেজ ও আইডির বিরুদ্ধে ডিবি কার্যালয়ে মামলা করলেন সাদিক কায়েম