
নির্মল এস পলাশ ,কমলগঞ্জ থেকে--
মৌলভীবাজার কমলগঞ্জে করোনা ঝুঁকি জেনেও নিজ সংসারসহ পরিবারের সবার মুখে খাবার যোগাতে মাধবপুর ইউপির খেটে - খাওয়া নারী শ্রমিক রেজিয়া বেগম ,নিয়তি দাস ,কুন্তি ভর ,সরস্বতি ভর ইট ভাঙার মতো পরিশ্রমের কাজ করে চলেছেন ।
করোনা সংকটের দুর্বিপাকে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ছে খেটে খাওয়া মানুষগুলোর ওপর। মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তহীনতায় তারা।
দিনের আয়ে যাদের রাতের খাওয়া চলে, তাদের কমছে কাজ আর কপালে বাড়ছে-দুশ্চিন্তার ভাঁজ। তাঁরা বলেন বাজারে যার লাগে ৩ কেজি সে কিনছে ১বস্তা, গরীবের তো ৭দিনের খাবারও ঘরে নাই। কাজ বন্ধ করে দিলে আমরা কি করে খাব।
পেটের টানে হার মানছে- করোনার দুর্ভাবনা। নিয়মিত হাত ধুতে হবে, জনসমাগম এড়াতে হবে। সচেতনতার খবর নানা মাধ্যমে তাদের পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে ঠিকই-কিন্তু মানতে পারছেন কি।
তাঁরা বলছেন হাত ধুয়ে পরিষ্কার আর কতক্ষন থাকবো। এখনতো আমাদের না খেয়ে মরার কায়দা হয়ে গেছে।
করোনা শুধু মানবস্বাস্থ্যেই নয়। কর্মসংস্থানের ওপর ফেলেছে ভয়াল থাবা এই পরিস্থিতে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ,মনোযোগ দিতে হবে তাদের স্বাস্থ্য - সুরক্ষাও।
নিয়তি - কুন্তি - রেজিয়ারা সাথে চলার পথে কাজ করতে দেখে এই প্রতিবেদকের আলাপকালে তারা বলেন কুন্তি ভর ,নিয়তি দাস ,সরস্বতী ভর চা - শ্রমিক পরিবারের মাধবপুর বাগানে পূর্বলাইনে বাড়ি। প্রত্যেকের পরিবারে ৫/৬ জন সদস্য। শুধু সরস্বতীর স্বামী চা - বাগানে শ্রমিক হিসাবে নাম রয়েছে। তাদের পরিবারে ৬ জনের খেয়ে বাঁচা স্বামীর আয়ে হয় না। নিয়তি ভরের দুই মেয়ে তাদের খাওয়া - দাওয়া এমনিভাবে কাজ করে যোগাতে হয়। এভাবেই এই নারী শ্রমিকরা সেই সকাল থেকে এসে ইট ভাঙার মতো কঠিন পরিশ্রমের কাজ করেন গ্রামিন জনপদে। যখন আলাপ তখন মাধবপুর শিববাজারে তারা ৪ জন একসাথে আপন মনে কাজ করে চলেছেন। তারা জানেন ভাইরাসের কথা। বলেন কি করবো কাজ না করলে খাবো কি। আমাকে বলেন আপনি যে জিজ্ঞাস করছেন কিছু দিবেন নাকি। জবাবে বলি - আমি জানাবো আপনাদের কথা। প্রশাসন - জনপ্রতিনিধি বা কোন বৃত্তবান ব্যাক্তি হয়তো আপনাদের সহযোগীতা এগিয়ে আসতে পারে। এসব নারী শ্রমিকদের অন্তত এই করোনা সংকটকালীন সময়ে তাদের খাবার সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন করোনা ঝুকি থেকে বাঁচতে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০