সোহাগ মনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ভেলানগর গ্রামের সন্তান মহিউদ্দিন মহি। ২০০৪ এ করেছেন এসএসসি পাশ। ছাত্র জীবনে তিনি ছিলেন সংস্কৃতিমনা। অঙ্কন এবং গানের অসাধারন সুরের দ্বারা বেশ সুপরিচিত ছিলেন তিনি। জুটেছে প্রথম হওয়ার পুরষ্কার ও। জানা যায়, এলাকার প্রায় সব শিক্ষার্থীর ব্যবহারিক খাতায় রয়েছে তার হাতের ছাঁপ।
পেশাগত জীবনকে প্রতিভা দ্বারা বর্ণাঢ্য করেছেন তিনি। কাঠের শিল্প দিয়ে শুরু, কারুকাজ আর নকশায় তার হাত বেশ প্রসিদ্ধ। নিজের কর্ম দিয়ে একযুগের ও বেশি সময় ধরে সুনাম কুড়িয়ে যাচ্ছেন মহিউদ্দিন। নিজের গ্রামের প্রায় ৮০ ভাগ ফার্নিচার সহ ঘরবাড়ি সৃষ্টির নৈপথ্যে তিনি। শুধু কি কাঠের কাজ! সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুই শিখে নিয়েছেন তিনি। রাজমিস্ত্রি,টাইলস বসানো,ইলেকট্রিশায়ন, রং করা, থেকে শুরু করে শৌচাগারের ট্যাব লাগানোর মত সব কাজ করতে পারেন তিনি। এক কথায় একটি ভবন তৈরির জন্য যেসব কাজ প্রয়োজন একাই সামলাতে পারে মহিউদ্দিন। নিজের হাতে নিজ বাড়িতে একাই ভবন তোলেন, যা অবাক করে সবাইকে।
নিজের স্বপ্ন আর অনুভূতির কথা জানাতে গিয়ে মহিউদ্দিন বলেন, ” আমি আমার ভালো লাগা থেকেই সব কাজ করি, সময়ের সাথে তাল মিলাতেই সব কাজ নিজের উদ্যোগেই শেখা, সবার ভালোবাসা আমাকে আরো অনুপ্রানিত করে”।
পেশাদারিত্বের পাশাপাশি মহিউদ্দিন নিজের শখেও অনেক কাজ করেন। চুল কাটা তার মধ্যে অন্যতম। গানের আসর ও জমান মাঝে মাঝে।
মহিউদ্দিন সম্পর্কে তার গ্রামের বাসিন্দা রণি আহম্মেদ বলেন, ” মহিউদ্দিন ভাই অসাধারণ একজন মানুষ,এমন কোনো কাজ নেই যে ওনি পারেন না, বিশেষ করে ওনার হাতের আর্ট সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ”
মহিউদ্দিন সময়ের সাথে সাথে নিজেকে আর ও পরিপক্ব করে তুলছেন সব কিছুতে। নতুন কিছু শেখাই তার নেশা, মহিউদ্দিনকে তরুণ সমাজের আদর্শ হিসেবেই দেখছেন সবাই।