মোঃ শামসুল হুদা লিটন, কাপাসিয়া (গাজীপুর)থেকেঃ
কাপাসিয়ার নাশেরা গ্রামে গাছ থেকে পড়ে গুরুতর আহত ও শয্যাশায়ী অসহায় দিনমজুর মোমেন মিয়ার চিকিৎসার্থে ১৫ হাজার টাকা পাঠালেন কয়েকজন কাতার প্রবাসী।
বিশিষ্ট সাংবাদিক অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটন গাছ থেকে পড়ে গুরুতর আহত মোমেন মিয়াকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে কয়েকজন কাতার প্রবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। পরে তারা প্রতিবেদকের সাথে যোগাযোগ করে আর্থিক সহযোগিতার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে কয়েকজন কাতার প্রবাসী মিলে ১৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করে প্রতিবেদকের কাছে পাঠান।
১২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকালে প্রবাসীদের পাঠানো আর্থিক সহযোগিতার ১৫ হাজার টাকা মোমেন মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তার নিজ হাতে তুলে দেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও তারাগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাশেরা হেকিম মোল্লা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ ফিরোজ মিয়া, নাশেরা বাইতুন নুর জামে মসজিদের সেক্রেটারী এরশাদুজ্জামান সরকার, হেকিম মোল্লা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধি তৌহিদুল ইসলাম শিকদার তারা মিয়া, জুয়েল শিকদার, মোমেন মিয়ার বড় ভাই দিনমজুর ফারুক মিয়া ও মোমেনের স্ত্রী।
কাতারের দোহা শহরের সাহানিয়া এলাকায় ইউ সি সি কোম্পানিতে একই সাথে কাজ করেন কাপাসিয়ার সাখাওয়াত, পাবনার জাহিদ, বরিশালের আল আমিন, কলকাতার আক্তার হোসেন, গিয়াস উদীন ও বিসনু। তারা মিলে অসহায় মোমেন মিয়ার জন্য ১৪ হাজার টাকা সংগ্রহ করে পাঠান।
নারায়নগঞ্জ শহরে কর্মরত আমির হোসেন নামে অপর একজন মোমেন মিয়ার জন্যে ১ হাজার টাকা পাঠান।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল, সৌদী প্রবাসী রফিকুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম মোমেন মিয়ার দুঃখের কাহিনী পড়ে প্রতিবেদকের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে ছিলেন যা ইতোমধ্যে মোমেনের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
প্রকাশ,কাপাসিয়া উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের নাশেরা গ্রামের মরহুম মুছা মিয়ার তৃতীয় ছেলে হত-দরিদ্র দিনমজুর মোমেন মিয়া অন্যের বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে প্রায় তিন মাস আগে গাছ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তার হাত,পা, কোমর ও মেরুদণ্ড ভেঙে যায় এবং মাথায় প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হন। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বর্তমানে সে নিজ বাড়িতে শয্যাশায়ী। অর্থের অভাবে তাঁর পরিবার পরিজন যথাযথ চিকিৎসা করাতে পারছেনা।
গুরুতর আহত মোমেন এতদিন মানুষের বাড়িতে কাজ করে ও ভ্যান গাড়ি চালিয়ে স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান নিয়ে দিনমজুরি দিয়ে কোনরকমে সংসার চালিয়ে আসছিলেন । বর্তমানে মোমেন মিয়া বিছানায় শয্যাশায়ী। কোন কাজতো দূরের কথা নড়াচড়া করাও কষ্টকর। বর্তমানে অর্থের অভাবে একদিকে তাঁর চিকিৎসার খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না, অপর দিকে স্ত্রী ও সন্তানদের দুবেলা দুমুঠো ভাত যোগান ও ভরনপোষণ করাও তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তার বড় মেয়ে বেগুনহাটি ফাজিল মাদ্রাসায় অস্টম শ্রেণিতে এবং ছোট মেয়ে হেকিম মোল্লা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। এলাকাবাসীর সহযোগীতায়ই চলছে দিনমজুর মোমেনের কষ্টের সংসার।
এ অবস্থায় সমাজের স্বচ্ছল ও বিত্তবানদের মোমেনের চিকিৎসা ও পরিবারের ভরণপোষণের জন্যে সহায়তায় এগিয়ে আসা খুবই প্রয়োজন ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০