গিয়াস উদ্দিন রনি, নোয়াখালী :
৩৩ মাস পর নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহনও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তাঁর আগমণকে ঘিরে উপজেলা আওয়ামীলীগের বিবদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অসুস্থতা ও করোনা সংক্রমণের কারণে গত ৩৩ মাস তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট উপজেলা) আসতে পারেনি। এর আগে তিনি সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১৩ আগস্ট ঈদুল আজহা উদযাপন করতে বাড়িতে আসেন।
বৃহস্পতিবার (৫এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের বড় রাজাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তাঁরই ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা।
অপরদিকে দুপুর ৩টার দিকে কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে উপজেলা ডাক বাংলোয় ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করার কথা রয়েছে সেতুমন্ত্রীর। এছাড়াও কবিরহাট উপজেলার ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিদের সাথেও তিনি ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের বিবদমান দুটি গ্রুপই মন্ত্রীকে বরণ করে নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত। এ উপলক্ষে নেই আগের মত সাজসাজ রব। গত দেড় বছরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে গেছে। তবে তাঁর এ সফরকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন জেলার রাজনৈতিক সচেতন মহল। তবে দেখার বিষয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিবর্ণ রাজনীতিতে এবার কি হবে?
কাদের মির্জা ঘোষিত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল বলেন,কয়েক বছর পর নেতার কোম্পানীগঞ্জে আগমণকে ঘিরে তৃণমূলের নেতাকর্মিদের মাঝে প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে।
সেতুমন্ত্রীর ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাত বলেন, কোম্পানীগঞ্জের রাজনীতিতে বর্তমানে নানা রকম প্রেক্ষাপটে মন্ত্রীর উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা ভালোমতো অনুভূত হচ্ছে। মন্ত্রীর আগমণে নেতাকর্মিদের মাঝে আশার সঞ্চার হয়েছে। স্থানীয় লোকজন আশা করছে কোম্পানীগঞ্জের যে রাজনৈতিক সমস্যা, তা সমাধান হবে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম বলেন, সেতুমন্ত্রীর আগমণ উপলক্ষে বাড়ির সামনে গার্ড অব অনার মঞ্চ তৈরী করা হয়েছে। পুলিশ মঞ্চস্থল পরিদর্শন করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০