বাপ্পী রাম রায়,
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
তথ্য গোপন করে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়কের পদ বাগিয়ে নেওয়া সেই ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেলকে দল থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
২০ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ “বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ” এর দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দলের লিখিত তথ্য সূত্রে জানা গেছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ,সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও গঠন তন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক (গঠন তন্ত্রের অনুচ্ছেদ ৩৪ এর গ – উপধারা অনুযায়ী) সংগঠনের সভাপতি রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নির্দেশক্রমে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেলকে দল থেকে অব্যহাতি প্রদান
করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল বিএনপি-জামায়াতের চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০১ সালে উপজেলার বামনডাঙ্গা আঞ্চলিক শাখার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন। পরে ২০০৩ সালে উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী তথা ছাত্রদলের নেতা আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল ২০১০ সালে উপজেলার আজেপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করেন। এঘটনায় তার বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় জিআর ২৭৫/২০১০ নং মামলা দায়ের করেন মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সাত্তার। পরবর্তীতে সেই মামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে তিনি আওয়ামী লীগের নেতা বনে যান। পরে সুযোগ বুঝে সত্য গোপণ করে তিনি আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপজেলা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক পদটি বাগিয়ে নেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০