বাপ্পী রাম রায়
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জাতীয়পার্টি ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় সাধারণ সভার প্রস্তুতি চলছিলো। এ সময় উপজেলা জাপার নেতা-কর্মীরা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার’র অপসারণের দাবিতে লাঠি ও ঝাড়ু– মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করেন। এরপর তারা পরিষদ ভবনের ভিতরের গেটে স্থাপিত মুজিব শত বর্ষের ক্ষণ গণনা মেশিন ভাংচুর করেন। ভাংচুরের খবর পেয়ে উপজেলা আ’লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন, রুবেল, শাহ্-সুলতান, সুজন, আবুল কাশেম, পিয়াল, সুমন মিয়া, জয়নাল আবেদীন , বাবলু মন্ডল, আমিনুল ইসলাম, জুয়েল, খন্দকার মো: মাইদুল ইসলাম। এ ঘটনার পর উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকারের নেতৃত্বে তাৎক্ষণিকভাবে একটি মৌন মিছিল ও উপজেলা বঙ্গবন্ধু চত্বরে প্রতিবাদ সভা অনুিষ্ঠত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার ও পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাইদুল ইসলামসহ প্রমূখ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন এবং ঘটনাস্থল থেকে সাইফুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেফতার করেন। সাইফুল উপজেলার দক্ষিণ মরুয়াদহ গ্রামের আজগার আলীর ছেলে বলে জানা গেছে। এ দিকে পুরো উপজেলা জুড়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ নিয়ে থানা অফিসার ইনর্চাজ আব্দুল্লাহিল জামান মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সোলেমান আলী জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার জানান, জাতির জনকের শত বর্ষের ক্ষণ গণনার মেশিন ভাংচুরের ঘটনায় দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।