নিউজ ডেস্ক :
বিএনপির পরে এবার সরকারের পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম আজ(বুধবার) এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আওয়ামী মহাজোট সরকার ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। জনগণ এ সরকারকে ভোট দেয়নি। অবৈধ স্বৈরাচারী সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্য আবারো ২০১৪ ও ২০১৮ স্টাইলে প্রহসনের নির্বাচনের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে। তারা আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একতরফা নির্বাচনের ফরমায়েসি তফসিল ঘোষণা করিয়েছে। দেশবাসী ঘৃণাভরে এই ফরমায়েসি তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণ স্বৈরাচারী সরকারের পাতানো ও তামাশার নির্বাচন বর্জন করে বিরোধীদলের সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছে। জনগণ জামায়াতসহ বিরোধীদল ঘোষিত অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে। আমরা সংসদ ভেঙে দিয়ে এবং পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য নিম্নোক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
১। ২১ থেকে ২৩ ডিসেম্বর দেশব্যাপী গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ
২। ২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক অবরোধ
তিনি নির্বাচন কে প্রহসনের নির্বাচন আখ্যা দিয়ে বর্জনের জন্য দেশবাসীর প্রতি নিম্নোক্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন-
১। প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
২। আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের চাপ, হুমকি, ভয়ভীতি অগ্রাহ্য করে সকল ভোটার ভাই ও বোনেরা নিজে ভোটদান থেকে বিরত থাকুন ও অপরকে বিরত রাখুন।
৩। ভোট নেয়ার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকুন।
৪। জালেম, স্বৈরাচার, ভোটাধিকার হরণকারী ও গণতন্ত্র ধ্বংসকারী তাঁবেদার সরকারের সাথে সকল ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করুন।
সবশেষে বলেম, ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসুন।"
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০