মাজহারুল ইসলাম বাদল,
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :
‘মুখে মুখে জামায়াত বিরোধিতার ধোঁয়া তুললেও সরকারের সঙ্গে জামায়াতের যোগাযোগ এখন স্পষ্ট হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়িতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন--জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সরকারকে তারা দেখতে চায় না। সরকার নিজেরাই রাজনৈতিক সংকট তৈরি করে রেখেছে। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলনের একটা ধাপ আছে, কখনও এটা ওঠে কখনও নামে। গত কয়েক বছরে প্রমাণ হয়েছে, বিএনপি ভায়োলেন্স (সহিংসতা) করে না। ভায়োলেন্সটা করে সরকারি দলের লোকেরাই এবং এজেন্সিগুলো। উল্টো তারা দোষ চাপাতে চায় কিন্তু এবার তারা সেই দোষ চাপানোর সুযোগ পায়নি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি মৌলিক কতগুলো বিষয় নিয়ে আন্দোলন করছে। একটা কথা সর্বজনীন স্বীকৃত যে এই সরকার যদি ক্ষমতায় থাকে তাহলে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। সব গণতান্ত্রিক দল বলছে, এখন আন্তর্জাতিক বিশ্বও বলছে।’
জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা জানানো হবে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
এর আগে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হওয়া বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত চার সংবাদকর্মীসহ পাঁচ জনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং মামলা সম্পর্কে খোঁজ নেন মির্জা ফখরুল।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০