এর পরপরই সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে হাসপাতালে আহত বিএনপির নেতাকর্মীরা চিকিৎসা নিতে গেলে তাদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে যুবলীগের বিরুদ্ধে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের শান্তিরহাটে নির্বাচনী গণসংযোগকালে এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে এ ঘটনার পর কুশাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিনের বাড়ি ও বাজারের দোকানঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে।
আহতরা হলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুবদল নেতা বদরুল আলম শ্যামল, মামুন, সৈকত, বরকত উল্লা, জাহিদ, আবদুল খালেকসহ ২১ জন। তাদেরকে সদর হাসপাতালসহ শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। তবে যুবলীগের বাধায় আহত বরকত উল্যাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের আহত নেতাকর্মীরা হলেন জুয়েল, রাছেল, আরিফ, ইউছুফ ও সিরাজসহ ১২ জন।
আহত শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, সকালে নির্বাচনী গণসংযোগকালে পুলিশের উপস্থিতিতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় অন্তত ২১জন আহত হয়। হাসপাতালে আহতরা গেলে তাদের ঘেরাও করা হয়। আমরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি জানাই।
কুশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন বলেন, এ্যানি তার দলবল নিয়ে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আহত করে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এসময় পুলিশ পরিদর্শক মফিজ ও উপ-পরিদর্শক রাজ্জাক আহত হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
লর্ক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ্যানিসহ বেশ কয়েকজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসে; তাদের চিকিৎসা চলছে। এ্যানিকে এক্সরেসহ কয়েকটি পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০