বিএনপি প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলার পর চিকিৎসা শেষে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় গুলশানে যান। সেখানে আগে থেকেই ঐক্যফ্রন্টের জরুরি সভা চলছিলো।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানে সভা শেষে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপির মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর।
মির্জা ফখরুল মঙ্গলবার সিইসির সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে সিইসির আচরণের সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন নয়, হোলি খেলা হচ্ছে।
এর আগে বিকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভা বর্জনের পর জরুরি বৈঠক ডাকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
আগে দুপুরে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চলমান বৈঠক বর্জন করে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বেরিয়ে আসেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। ওই দুপুরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে তুমুল উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে।
উত্ত্যপ্ত বাক্যবিনিময় হয় দুপক্ষে। একপর্যায়ে সভাশেষ না করেই সংক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে যান ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনসহ অন্যরা।
ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারে হামলা-বাধা ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ শুনতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অনীহা প্রকাশ করেন।
উপরন্তু তিনি পুলিশের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতার সঙ্গে ‘অশোভন আচরণ’ করেন। এ কারণে তারা সভা থেকে উঠে আসেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০