মহেশখালী প্রতিনিধিঃ-
কক্সবাজার -২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিকের বিরুদ্ধে নোঙর নিয়ে লড়ছেন সদ্য সাবেক উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফার ভাতিজা মুহাম্মদ শরীফ বাদশা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) পার্টির মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ শরীফ বাদশা ও তাঁর সমর্থিত নেতাকর্মীরা নির্বাচনী পথসভায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে উস্কানীমূলক বক্তব্য দিলেও, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিক ও তাঁর সমর্থিত নেতাকর্মীরা দলীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন আকৃষ্ট করছেন।তাতেই মুগ্ধ আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও সাধারণ ভোটারা।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়,দলীয় প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিকের বিরুদ্ধে যাদের রাজনীতি বিরোধ ছিল, এরাও এখন গোপনে দৈতনীতি করা যাচ্ছে। যার প্রমাণ মিলবে আগামী ৭ই জানুয়ারি ভোটের মধ্যে । উপজেলার যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রগুলো ভোট ব্যাংক হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছিল, সে কেন্দ্রগুলোতেও বাদশা ভোটের প্রভাব বিস্তার করতে পারে। কারণ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গোপনে শরীফ বাদশার সাথে আতাঁত করেছে, এমনটাই আভাস দেন অভিজ্ঞ মহল।
নৌকা ‘ডোবানোর’ লড়াইয়ে আওয়ামী লীগ:-
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কৌশলগত কারণে নৌকাকে ডোবানোর লক্ষ্য কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও তাঁর পরিবারমহল। সংসদ নির্বাচনে আশেক উল্লাহ রফিক তৃতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হলে সংসদের মন্ত্রী আসনে বসবেন তিনি। ফলে জেলা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় নেতা হবেন আশেক। তাই কৌশলে নৌকাকে ডোবানো ফ্যাট আওয়ামী নেতাদের।
সাম্প্রতিক উপজেলার নতুন বাজার নোঙ্গর মার্কার পথসভায় প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধিতা করেন – বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার ছোটভাই, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজিজুল হক। দলীয় কেন্দ্রীয় নেতার ভাই ও উপজেলা সহ-সভাপতি নৌকাকে ডোবানোর লক্ষ্যে কাজ করা যাচ্ছেন।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত’ ভাই ( ভাইস চেয়ারম্যান) জহির নৌকার বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণায় মাঠে কাজ করছে। ফ্যাট আশেক! তিনি পূণরায় নির্বাচিত হলে জেলার বড় নেতা হবেন।তাই নৌকা কে ডোবানোর কারণ।
গোপন তথ্য মতে, উপজেলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরিফ দলীয় চাপে নৌকার পক্ষে কাজ করলেও, তাঁর সমর্থিতরা নোঙ্গল মার্কার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। যার প্রমাণ অতীতের নির্বাচনের সাথে এই নির্বাচনের তার প্রচার প্রচারণার ধরণ দেখলে সহজে বোঝা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন,নাম প্রকাশ প্রকাশের অনিচ্ছুক এক আওয়ামী নেতা।
নৌকার বিরুদ্ধে নয়, ‘নিজের কথা’ বলছেন বাদশা।
নৌকার বিপক্ষে লড়াইয়ে থাকা শরীফ বাদশা বলেন, “আমি আওয়ামী লীগেরই মানুষ। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গে আছেন। নৌকার বিরুদ্ধে কীভাবে ভোট চাইবেন? এই প্রশ্নে বলেন, “আমি আমার কর্মের কথাই মানুষের কাছে তুলে ধরছি।
“আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কিন্তু নয়, নোঙ্গর প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগকে জয় উপহার দেওয়ার প্রত্যয়ে আমি নির্বাচন করছি।” “আমি নৌকার বিরুদ্ধে কথা বলব কেন? এইবার যাকে নৌকা দেওয়া হয়েছে তিনি দুর্নীতিবাজ ও জুলুমবাজ।তিনি প্রথম বার বিকাশ দ্বিতীয় বার মাঝরাতে নির্বাচিত হয়েছিল।তাই তার উজানী নৌকাকে বাঁধার জন্য আমি মার্কা নিয়েছি নোঙ্গর।