রাকিবুল আওয়াল পাপুল, শেরপুর প্রতিনিধি :
শেরপুরের নকলায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন সরকার বাবুকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের সুপারিশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। ৫ জুলাই বুধবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আম্বিয়া খাতুন ও সাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বরাবর ওই সুপারিশ করা হয়।
৬ জুলাই বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সোহেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন বাবুকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। এখন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ তাদের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সম্পাদক বরাবর সুপারিশ করলে তারা সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ মার্চ নকলা উপজেলার টালকী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু কমিটি ঘোষণা দেওয়ার সময় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন বাবু তার সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে বিশৃঙ্খলা শুরু করেন। বাবুসহ তার সঙ্গী-সাথীরা টালকী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. আমিনুল ইসলাম (উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি) এর পক্ষ নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উপর মারমুখী আচরণ ও গালিগালাজ করায় সম্মেলনের পরিবেশ বিঘ্ন ঘটে। যার ফলে উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটি ঘোষণা স্থগিত করতে বাধ্য হয়। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ১৮ জুন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল সদস্যগণ এ ঘটনার নিন্দা প্রস্তাবসহ মো. মোশারফ হোসেন বাবুকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের প্রস্তাব উপস্থাপন করায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ বরাবর সুপারিশ করা হয়।
তবে এ ব্যাপারে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি চিঠিটি হাতে পাইনি। তবে ফেসবুকে দেখেছি। এ ব্যাপারে (বহিস্কারের বিষয়ে) আসলে আমাদের কোন এখতিয়ার নেই। স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেভাবেই আমাদের চলতে হবে।