সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় চেয়ারকে ঢাল বানিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আজ সোমবার দুপুরে দিরাই উপজেলা বিএডিসি মাঠে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা মঞ্চে ওঠার পরপরই এ সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন মঞ্চে থাকা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন আওয়ামী লীগের আরেক অংশের নেতাকর্মীরা।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, সম্মেলন শুরুর পরপরই বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মঞ্চের সামনে আসেন পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশারফ মিয়া।
এর পরপরই কেন্দ্রীয় নেতাদের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন তার সমর্থকরা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা। তখন কেন্দ্রীয় নেতারা বসার চেয়ার মাথায় নিয়ে আত্মরক্ষা করেন। পরে পুলিশ এসে তাদের নিরাপদে মঞ্চ থেকে নামিয়ে নেন।
মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন প্রমুখ।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদ বলেন, ‘সম্মেলন শুরুর পরপরই কিছু ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ’
কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের এই সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
তার নাম আজমল হোসেন চৌধুরী, তিনি কুলঞ্জ গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়া দাবি করেছেন, ‘নিহত আজমল হোসেন চৌধুরী তার কর্মী। সংঘর্ষের সময় তার সামনে প্রতিপক্ষের ইটের আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পর আজমলের মৃত্যু হয়েছে’। অপরপক্ষ এটাকে ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ বলে দাবি করছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০