নিউজ ডেস্ক :
অবশেষে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবন বহিষ্কার হয়েছেন দলটির গাজীপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি কটূক্তি করে দল থেকে কারণ দর্শানো এ নেতাকে দলের পদ থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি তার প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক থেকে জাহাঙ্গীরকে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তি করে দেওয়া গাজীপুর সিটি মেয়রের বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। মেয়র থেকে পদত্যাগ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে জাহাঙ্গীরকে বহিষ্কারের দাবিতে গাজীপুর নগরের কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভ করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তখন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রাজনৈতিক একটি প্রতিপক্ষ অতি উৎসাহী হয়ে আমার বক্তব্য এডিট করে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে ভাইরাল করেছে। আমি গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার।
গত ৩ অক্টেবর দলের স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে শোকজ করে আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সই করা শোকজ নোটিশে ১৫ দিনের মধ্যে জাহাঙ্গীরকে এর জবাব দিতে বলা হয়। এরপর নির্ধারিত সময়ের আগেই শোকজের জবাব দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান জাহাঙ্গীর। যদিও শেষপর্যন্ত ক্ষমা পাননি তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০