মাহবুবুর রহমান জিলানী, স্টাফ রিপোর্টার //
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ( ৫ জুন ) বুধবার বিকেলে টঙ্গী মুদাফা এলাকায় টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিল মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো. আসাদুজ্জামান নূর ভিপির সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন, পশ্চিম থানা বিএনপির আহ্বায়ক প্রভাষক বসির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন গাজীপুর মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান রাজু,গাজীপুর মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম সাথী, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস শরিফ, সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাউদ্দিন, গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিরন, বিএনপির নেতা জালাল মাহমুদ,বেনজির আহমেদ, যুবনেতা জসিম উদ্দিন, সামসুল হক,আজিজুর রহমান টিপু,আরিফ মিয়া, নাসির মৃধা, ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম শামীম, মশিউর রহমান মাসুম সিকদারসহ ছাত্রদল,যুবদল ও বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আলোচনা সভা শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও গাজীপুর টঙ্গীর প্রয়াত সকল বিএনপি নেতাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মোনাজাত শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় বক্তারা জিয়াউর রহমানের স্মৃতি চারণ করে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাত্রিতে জাতি যখন দিশেহারা তখনই নেতৃত্বশূণ্য জাতিকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছিলেন জিয়াউর রহমান। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে তিনি চুপ করে বসে ছিলেন না। তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের মাঠে থেকে দেশকে স্বাধীন করেছেন। সেদিন আওয়ামীলীগের অনেক নেতাই পার্শবর্তী দেশে চলে গিয়েছিলেন। ৭১ সালে যাদের জন্ম হয়েছে তারাও আজকে আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ। এটাই ইতিহাস। এর বাইরে আর কোন বক্তব্য থাকতে পারেনা। কিন্তু আওয়ামীলীগ এখন নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস শিখাচ্ছে।