জামালপুর প্রতিরিধিঃ
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ডা.মুরাদ হাসান এমপিকে।
৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ তাদের এ সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে পাঠাবে বলে জানা গেছে। তবে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিলের ব্যাপারটি জেলা আওয়ামী লীগের হাতে নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা।
এর আগে, ডা. মুরাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে জরুরি বৈঠকে বসে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ। সিনিয়র নেতারা বলেন, মুরাদের বেপরোয়া আচরণে তারা ব্যথিত ও দুঃখিত। জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ডা. মুরাদের আচরণে আমরা বিব্রত, ব্যথিত ও দুঃখিত।
আগামীকাল উপজেলা আওয়ামী লীগের বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে সেটা তাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর এক ফেসবুক লাইভে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে। যা সমালোচনার ঝড় তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
প্রতিবাদ জানায় সাধারণ জনগণ, বিভিন্ন সংগঠন এমনকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। পদত্যাগ ও ক্ষমা চাওয়ার দাবিও তোলা হয় ডা. মুরাদ হাসানের।
পরে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সাথে তার কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে তৈরি হয় নতুন বিতর্ক। এর আগে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালেও নানান সময়ে বেফাঁস মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন ডা. মুরাদ হাসান।
এমন অবস্থায় ডা. মুরাদকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি সোমবার রাতে নিশ্চিত করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী তাকে মঙ্গলবারের মধ্যে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পদত্যাগ পত্র জমা দেন ডা. মুরাদ হাসান।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০