কক্সবাজার প্রতিনিধি :
আমরা স্থানীয় নির্বাচন চেয়েছি এই জন্যই আজকে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। জন্মসনদ, মৃত্যু সনদ, চারিত্রিক সনদপত্র পাচ্ছে না।
এই নির্বাচনটি ননপলিটিক্যাল নির্বাচন হতে হবে, কোন দলের নির্বাচন নয়।
আজ ২৯ এপ্রিল কক্সবাজার শহর জামায়াতের উদ্যেগে প্রাক্তন ছাত্র ইসলামি আন্দোলনের প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার শহর আমীর আবদুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি রিয়াজ মুহাম্মদ শাকিলের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মুফতি মাওলানা হাবিবুল্লাহ, জেলা সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, কক্সবাজার-৩ জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শহীদুল আলম বাহাদুর, শহর নায়েবে আমীর কফিল উদ্দিন চৌধুরী, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি দরবেশ আলী মোহাম্মদ আরমান, এড. সলিমুল্লাহ বাহাদুর, এড. নাজেম উদ্দিন, সাবেক জেলা শিবির সভাপতি এড. দেলোয়ার হোসাইন, শফিউল আলম খন্দকার, কামরুল হাসান, বর্তমান জেলা শিবির সভাপতি আবদুর রহিম নুরী, সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম কবির, সৈয়দুল হক সিকদার, অধ্যাপক নুরুল আজিম প্রমুখ।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও টেঁকসই গণতন্ত্রের ব্যাপারে যদি আমরা দ্বিমত করি তাহলে সকল শহীদদের সাথে আমাদের বেঈমানী করা হবে। কারণ এই লড়াইটা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছিল। দেশের জনগণ স্বচ্ছ নির্বাচন ও দুর্নীতি মুক্ত একটি বাংলাদেশ চায়।
জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর প্রদত্ত কুরআন ও মনোনীত ইসলামকে লালন করছে জানিয়ে মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ইসলামে কারো ওপর কোনো কিছু জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়ার বিধান নেই। ইসলামের চেয়ে বেশি ও প্রকৃত স্বাধীনতা অন্য কোথাও দেওয়া হয়নি। যারা সত্যের জন্য লড়াই করে, স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে, সম্পদের মোহ্ ছেড়ে আল্লাহর দ্বীনের জন্য লড়াই করে তারা কখনো কারো উপর জোরপূর্বক কিছু চাপিয়ে দিতে পারে না, দেয় না। প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লব আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য ও বিজয়। এই বিজয়ের মাধ্যমে মানবতার বিজয়ের সূচনা হয়েছে। এই বিজয় পূর্ণাঙ্গ হবে যখন বাংলার জমিনের আল্লাহর বিধান কায়েম হবে। যখন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে তখন মানুষ ন্যায়বিচার ও মৌলিক অধিকার পাবে। অধিকার পেতে মানুষকে তখন আর রক্ত দিতে হবে না, জীবন দিতে হবে না। এখন আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য যে সংগঠন আন্দোলন করে আসছে, সেই সংগঠনের দিকে মানুষ দলে-দলে ধাবিত হচ্ছে ।