ভারতের আগ্রাসনের বিরোধিতা করার জন্যই প্রয়াত গোলাম আযমের মেজো ছেলে সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে দীর্ঘ ৮ বছর গুম করে রাখা হয় বলে দাবি করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমার পণ ছিল দেশের পক্ষে লড়ে যাব। ভারত সব সময় একটা বৈষম্য তৈরি করে রেখেছিল। আমাদের ফেলানীকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে ভারত। তারা চেয়েছিল- এদেশে কোনো সেনাবাহিনী থাকবে না, ভারতীয় সেনাবাহিনী দিয়ে দেশ চালাবে। তাদের ইচ্ছে ছিল এদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের অধীনে রাখা। আমি সব সময় এসবের প্রতিবাদ করেছি। হয়তো এ কারণেই আমাকে দীর্ঘ ৮ বছর আটকে রেখেছিল। আরেকটি কারণ হতে পারে আমি গোলাম আজমের ছেলে।’
আবদুল্লাহিল আমান আযমী উল্লেখ করেন, তাকে বলা হয়েছিল যেন তার বাবাকে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। তখন তিনি প্রতিবাদ করে বলেন, কোনো কু-সন্তানও তার বাবাকে বের করে দিতে পারেন না। এ কথা বলার সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন আযমী।
সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে সাধারণত একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদার ব্যক্তির বিদায় সংবর্ধনা অনেক জাঁকজমকপূর্ণ হয়। অথচ আমাকে তাড়াহুড়ো করে ১ দিনের মধ্যেই বিদায় করা হয়। বিশ্বের কোনো দেশেই এটা হতে পারে না। বিদায়ের সময় একটি ভাঙাচোরা গাড়ি দেওয়া হয়। যেটা আমার পদ-পদবির সঙ্গে কোনোভাবেই যায় না।’
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে একের পর এক ফিরে আসতে থাকেন দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ ব্যক্তিরা। তাদের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। তারা প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, এতদিন তাদের আয়নাঘরে আটকে রাখা হয়েছিল।
মুক্ত হয়ে ৬ আগস্ট ভোরে নিজ বাসায় ফেরেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) আবদুল্লাহিল আমান আযমী। তখন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে আবদুল্লাহিল আমান আযমীর ফেরার কথা জানায়।
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আযমের ছেলে আবদুল্লাহিল আমান আযমী। ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট তিনি নিখোঁজ হন। তখন থেকেই তাকে গুম করা হয়েছে বলে দাবি করে আসছিল তার পরিবার।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০