সাত্তার সিকদার, লোহাগাড়া, চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন বলেছেন, আগামীদিনের রাজনীতি হবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ার রাজনীতি, নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা পূরণের রাজনীতি। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে জনমানুষের মুখে হাসি ফুটবে। এজন্য ঐক্যবন্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উন্নয়ন ও সমৃদ্ধশীল দেশ গঠনের স্বপ্ন দেখছেন, বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলবার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে উন্নয়ন, সমৃদ্ধশীল অর্থনীতি গঠনের প্রতিজ্ঞা নিয়ে দেশের সর্বস্থরের মানুষকে সম্পৃক্ত করে এগিয়ে যাচ্ছেন। গণমানুষের দল হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণে অতিতের ন্যায় আগামীতেও কাজ করে যাবে বিএনপি। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা নাগরিক সেবা সহ সকল ধরনে সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করবে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
চট্টগ্রাম লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের মজিদের পাড়া এলাকায় বিএনপির এক কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে কেন্দ্র ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখার পক্ষে লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি ওই কর্মী সভার আয়োজন করে।
লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আলমের সঞ্চালনায় কর্মী সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের ১নং সহসভাপতি আবু সেলিম, উপজেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট এহেছানুল হক,আবুল হাশেম, লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, চরম্বা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহা আলম, পদুয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম,আমিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম,সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাব্বির আহমদ, সদর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক শামসুল ইসলাম, সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
নাজমুল মোস্তফা আমিন আরোও বলেন, সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠা করা, মুক্ত বাজার অর্থনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করবে আমরা সবাই। চলিত বছরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যে স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছি তার জন্যে বিএনপি দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে। বিএনপির সবচেয়ে বেশি নেতাকর্মী গুম হয়েছে। দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তারপরও দেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম অব্যাহত ছিল।