মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:
সরকার পতনের চলমান ১ দফা’র প্রতি সংহতি ও নিজস্ব ২ দফা আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ রাজধানীতে ‘না’ মিছিল করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’।
বর্তমান সরকারকে অবৈধ, বেআইনী ও ফ্যাসিবাদী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের সকল কর্মকান্ড কে ‘না’ বলার আহ্বান ছিল এই মিছিলের মূল প্রতিপাদ্য। সকাল ১১ টায় দলের প্রধান কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু করে দলীয় নেতা-কর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয়-৭১ চত্ত্বরে এসে এক পথসভায় মিলিত হন।
দলের যুগ্ন সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, অ্যাড. তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।
অ্যাড. তাজুল ইসলাম বলেন, যেনতেনভাবে দেশের ক্ষমতায় থাকার আকাঙ্খা শেখ হাসিনাকে বেসামাল করে দিয়েছে; বিদেশীদেরকে দেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে সুযোগ করে দিয়েছে যেটার পুরো দায় বর্তমান অবৈধ সরকারের। দেশের উত্তর প্রজন্ম আওয়ামী বাকশালকে ক্ষমা করবে না উল্লেখ করে তিনি রাজধানীর প্রবেশমুখ গুলোতে বিএনপি সহ বিরোধীদলের কর্মসূচীতে ব্যাপক পুলিশি নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, নির্যাতন করে কোন একদলীয় স্বৈরশাসকের শেষ রক্ষা হয়নি, হাসিনা সরকারেরও হবে না।
দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান বলেন, গত কয়েকমাস ধরে আমরা গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলো যে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি দিচ্ছি, আওয়ামীলীগ কোন না কোনভাবে সেগুলোর কাউন্টার কর্মসূচি দিচ্ছে। আজকে বিএনপি’র কর্মসূচি চলাকালে নেতাদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা ও গ্রেফতার প্রমান করে সরকার দেশে একটা সংঘাত ও গৃহযুদ্ধ বাঁধাতে চায়। তিনি বলেন এটা ক্ষমতাসীনদের চরম নৈতিক পরাজয়, ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে তারা সেটা বুঝতে পারছেনা। বিএনপি কোন কর্মসূচি দিলে তারা ঠিক একই সময়ে বার বার প্যারালাল কর্মসূচি দিচ্ছে। বিএনপি তারিখ, সময় ও স্থান পেছালে তাঁরাও তারিখ, সময় ও স্থান পরিবর্তন করছে। তাদের দেউলিয়াপনা দেখে মনেহচ্ছে তারা বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের অন্যতম শরীক।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডা. মিনার বলেন, সরকারী দল ‘শান্তি মিছিল’র নামে অশান্তি ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ‘শান্তি কমিটি’ যেভাবে গ্রামে, শহরে, মহল্লায় অরাজক পরিস্থিতি তৈরী করেছিল, এখনো সেরকম গুম, খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে। আজকেও সারা শহর জুড়ে পুলিশ-ছাত্রলীগ যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, হাজার হাজার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের রাবার বুলেট দিয়ে আহত করছে, নেতাদেরকে যেভাবে রক্তাক্ত করেছে তা শুধু একদলীয় বাকশালের সাথেই তুলনাযোগ্য।
‘না’-মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিষ্টার যুবায়ের আহমেদ ভূইয়া, বিএম নাজমুল হক, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, এবিএম খালিদ হাসান, আনোয়ার সাদাত টুটুল, আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, এম আমজাদ খান, আনোয়ার ফারুক, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, আবু হেলাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাদীউজ্জামান খোকন, আব্দুল হালিম খোকন, গাজী নাসির, আবুল বাশার, আমিনা বেগম, ছাত্রনেতা মোহাম্মদ প্রিন্স, আব্দুল মান্নান প্রমুখ।