গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে. এম খালিদ এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনা যত দিন বেঁচে থাকবেন তার হাতে রাষ্ট্র থাকবে আমরা বিশ্বাস করি, ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
গতকাল মণিপুরি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহা রাসলীলা ধর্মীয় উৎসবে মৌলভীবাজার কমলগঞ্জে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে চার তলা বিশিষ্ট মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি প্রশিক্ষণ সেন্টার, প্রশাসনিক ভবন, গেস্ট হাউস ও ডরমেটরি বিল্ডিং এর উদ্বোধনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এই কথা বলেন৷
তিনি আরো বলেন, মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি এই প্রতিষ্ঠানটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতি দরদ, ভালোবাসা থেকে তিনি এটি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। আমরা এটি বাস্তবায়ন করেছি মাত্র৷ আজকে মণিপুরী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য যে একাডেমি নির্মিত হয়েছে এটি কল্পনার বাইরে ছিল৷ এত সুন্দর, দৃষ্টিনন্দন একাডেমি কমলগঞ্জে প্রতন্ত অঞ্চলের নির্মিত হবে কল্পনার বাইরে ছিল, যেখানে কল্পনার হার মানায়, সেখানে শেখ হাসিনা বাস্তব হয়ে দেখা দেয়৷ শেখ হাসিনা হাতে দেশ পথ হারাবেনা বাংলাদেশ।
আলোচনায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি বলেন, আমাদের অঞ্চলে মণিপুরী সম্প্রদায়ের ৩টি গোত্র রয়েছে। একটা হলো- মীতৈ, বিষ্ণুপ্রিয়া, আরেকটা হলো পাঙাল। মণিপুরী মুসলিমরা পাঙাল হিসেবে পরিচয়। তাদের একটি সুন্দর ঐতিহ্য আছে৷ তারা ধার্মিক আর মীতৈরাও কঠিন ঐতিহ্য আছে৷ বিশ্বপ্রিয়াদের কিছুতা আমরা তাদের ভাষা বুঝতে পারি, চালচলন,তাদের চলাফেরা বুঝা যায় বাঙালির প্রভাব রয়েছে।
আলোচনা সভায় সভাপতি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুল মনসুর বলেন- মণিপুরী নৃত্যকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কাজ করেন৷ ইউনেস্কো আমাদেরকে কিছু গাইড লাইন দিয়েছে সেই হিসেবে কাজ করছি আশাকরি আমরা মণিপুরী নৃত্যকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাবো৷
এসময় সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য অসীম কুমার উকিল এমপি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও প্রকল্প পরিচালক মো. শামীম খান, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিংহ ও জুডিশন সুচিয়াং প্রমুখ।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন মণিপুরী ললিতকলা একাডেমির উপ-পরিচালক ও কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত উদ্দিন। পরে ললিতকলা একাডেমির নাট্য প্রশিক্ষক শুভাশিস সিনহার সঞ্চালনায় মণিপুরীসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া রাসোৎসব উপলক্ষে সন্ধ্যায় রাসলীলা সেবা সংঘের আয়োজনে মহারাসলীলা উন্মুক্ত মঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদেন অতিথিরা।