শ্রমিকরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথা বলে আমাদের ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে। আমরা এ সিদ্ধান্ত মানি না।
মৌলভীবাজারে কুলাউড়ায় ৩০০ টাকা মজুরি নির্ধারণের দাবিতে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনরত চা-শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলা শহরের রেলগেট এলাকায় কয়েকশ শ্রমিক জড়ো হয়ে ট্রেনটি আটকে দেন। বিকেল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শ্রমিকরা ট্রেনটি আটকে রেখেছেন।
কালিটি চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক উত্তম গোয়ালা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৭টি চা-বাগানের শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
এছাড়াও ঢাকা-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক সড়ক ও মৌলভীবাজার-রাজনগর সড়কও অবরোধ করে রেখেছেন শ্রমিকরা। ১২০ টাকা মজুরিতে কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত মেনে নেননি তারা। আজও মৌলভীবাজারের বালিশিরা, মনু, ধলাই জুড়ি, লংলার অধিকাংশ বাগানের চা-শ্রমিকরা কাজে নামেননি। বিভিন্ন চা বাগানে শ্রমিকদের জড়ো হয়ে মিটিং-মিছিল করতে দেখা গেছে। শ্রমিকরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথা বলে আমাদের ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে। আমরা এ সিদ্ধান্ত মানি না
গত শনিবার (১৯ আগস্ট) শ্রীমঙ্গলস্থ বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে এক বৈঠকে সরকারের হস্তক্ষেপে বাগান মালিক পক্ষে ১২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা দৈনিক মজুরি নির্ধারণ করে দেয়া হয়। দফায় দফায় বৈঠক শেষে শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা ১শ’৪৫ টাকার প্রস্তাব মেনে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। রোববার থেকে কাজে যোগ দেয়ারও ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারা। ১শ’ ৪৫ টাকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আবারো আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। ‘৩শ’ টাকার স্থলে ১শ’৪৫ টাকায় সমঝোতা ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ মেনে নিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের’ ঘোষণা জানজানি হলে মাঠ পর্যায়ের সাধারণ চা শ্রমিকদের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০