আবার দেখা হবে
যেদিন সর্বত্র হৈহল্লা থাকবে
বন্ধী মানুষগুলো খাঁচা থেকে
মুক্ত পাখির মতো উড়তে চাইবে।
আবার দেখা হবে
যেদিন ছাত্র - ছাত্রীর স্কুল/কলেজ যাওয়ার মন আনন্দে ভাসবে
ঘরের আটকে থাকা শিশু - কিশোর
খোলা আকাশের নিচে ঘুড়ি উড়াবে।
আবার দেখা হবে
যেদিন খবরের কাগজের শিরোনামে করোনা নামক শব্দ দেখা যাবে না।
যেদিন পাড়ার মোড়ের চা দোকানগুলোতে চায়ের কাপে ঝড় উঠবে।
আবার দেখা হবে
যেদিন খেলার মাঠে একঝাঁক ছেলে
বল নিয়ে দৌড়বে।
যেদিন বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো মানুষ গুলো একত্রে জড়ো হবে।
আবার দেখা হবে
যেদিন মমতার পরশ দিয়ে
একে অন্যের সাথে হাতে-হাত রাখবে ।
যেদিন অলিতে-গলিতে কালো-নীল-সবুজ রঙ্গের লোক গুলোকে কম দেখা যাবে।
আবার দেখা হবে
যেদিন পাড়ার দোকান থেকে বড় বিপনী বিতানে মাস্কের আবরণ থাকবে না।
যেদিন আশেপাশের কাউকে অদ্ভুত দেখাবে না, অন্যের অসুস্থতায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলবে।
আবার দেখা হবে
যেদিন মহামারীর শিক্ষা নিয়ে
এক মানবিক সমাজ হবে।
ভেদাভেদ হীন মনুষ্যত্বের হবে।
আবার দেখা হবে
এদিক-ওদিক মানুষরা যখন
নিজেদের কর্মে ছুটাছুটি করবে।
যেদিন এই মহামারীর কথা
কেউ মুখে না আনবে ।
আবার দেখা হবে যেদিন আতঙ্ক, হাহাকার শেষে
নতুন প্রভাতের সূর্য উদয় হবে, নতুন স্বপ্ন বুনার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবো সামনে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০