লম্বা স্বৈরশাসনের সময়টি জনসাধারণের মাঝে ছোট ছোট করে বিপ্লবী এক স্বৈরাচার বিরোধী চেতনা তৈরি করে। যেখানে দেশের নিউক্লিয়াস- শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ একমাসের শিক্ষার্থীদের ওপর ধারাবাহিকতা বর্বরতা জনসাধারণের ওই বিপ্লবী চেতনার চুড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যায়। দানবীয় শাসকদের নাম শুনলেই যারা ভয় পেতো তারাই আঙ্গুল তুলে কথা বলা শিখে গেলো, যা ইতিহাসকে পাল্টে দিয়ে নতুন ইতিহাস লিখা শুরু করলো।
মানুষের দেড় যুগের জমে থাকা স্বপ্নগুলো বেরুতে শুরু করলো, যার সম্মিলিত রুপ পাবে বাংলাদেশ- এই আশায় সবাই নিজের চেয়ে দেশকে বেশি আগলে রাখা শুরু করলো। সকলের চোখেমুখে স্নিগ্ধ, দুরন্ত কত ভাবনা। সকলে বিশ্বাস করতে শুরু করলো বাংলাদেশ আসলেই আমার দেশ, আমার অস্তিত্ব। কোন ব্যাক্তি কিংবা তার পিতার না।
কিন্তু এদেশের নিরীহ মানুষ সম্ভবত সবসময় ভাগ্যের হেরে যাওয়ার জন্যেই জন্মেছে! সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর হাতে আটকে আছে হাজারো স্বপ্ন। নতুন বাংলাদেশ গড়ার দুরন্ত স্বপ্নগুলো ক্রেডিটবাজি আর চাঁদাবাজির ছায়ায় ঢাকা পরে গেলো।
এদেশের মানুষের চোখেমুখে জমে থাকা আবেগ জানিয়ে দেয় হয়তো একদিন দেশটি মুক্ত হবে। ভাতৃত্বের ও মাতৃত্বের ছায়ায় শান্তির আশ্রয়স্থল হবে। হয়তো আরো ধৈর্য্য ধরার এখনো বাকি আছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০